নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ কেন্দ্রের। রাজ্য সরকার সতর্ক আছে, কেন্দ্রকে জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২৭ ডিসেম্বর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মকড্রিল হবে দেশজুড়ে। 'আগে নেওয়া টিকা নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর খতিয়ে দেখা উচিত', কেন্দ্রের কাছে আবেদন রাজ্য সরকারের।


স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কেন্দ্রের জরুরি বৈঠক। সেখানে টিকা নিয়ে একটি প্রশ্ন সামনে রেখেছে রাজ্য। নতুন ভ্যারিয়েন্টে কি কার্যকর হবে পুরনো ভ্যাকসিন? জানতে চাইল রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

কেন্দ্রের পরামর্শ: 
বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা ২ শতাংশের যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা। চিন, জাপান, তাইল্যান্ড, কোরিয়া থেকে এলেই আরটিপিসিআর রিপোর্ট বাধ্যতামূলক, জানাল কেন্দ্র। করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামো নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর মক ড্রিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় সব রাজ্যকে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামো তৈরি থাকার কথা দাবি রাজ্যের। অহেতুক আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্কতা নেওয়ার কথা জানাল রাজ্য।


এরই মধ্যে আশঙ্কা জাগিয়েছে বিদেশ থেকে পাওয়া একটি তথ্য।  জাপানের (Japan) একদল গবেষকের দাবি, এই ভাইরাস মৃতদেহ থেকেও ছড়াতে পারে। নমুনা পরীক্ষাতেও দেখা গেছে, মৃতদেহে এই ভাইরাস অনেকদিন সক্রিয় থাকে। যদিও, গবেষকদের একাংশের দাবি, এনিয়ে আরও গবেষণার (Research) প্রয়োজন রয়েছে।


জাপানের চিবা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষক হিসাকো সাইতোর দাবি, ১৩ দিন আগে মৃত্য়ু হয়েছে, এমন ১১জনের ফুসফুস এবং নাক থেকে নেওয়া নমুনা তাঁরা পরীক্ষা করেন। তার মধ্য়ে ৬টি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, করোনা ভাইরাস সক্রিয় ছিল এবং জীবিত মানুষের শরীরে থাকা ভাইরাসের মতোই সক্রিয় ছিল। অর্থাৎ জাপানের এই গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, দু-এক দিন নয়, মৃত্য়ুর ১৩ দিন পর অবধি মৃতদেহের মধ্যে, এই ভাইরাস সক্রিয় অবস্থায় বাসা বেঁধে থাকতে পারে ! সেই কারণে এই সাব ভ্য়ারিয়েন্টের সংক্রমণকে গবেষকরা বলছেন, জম্বি ইনফেকশন ! করোনার আগের ঢেউয়ের সময়, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হত প্লাস্টিকে মুড়ে। সংক্রমণ চূড়ায় থাকাকালীন, পরিবারের সদস্য়দের মৃতদেহ দেখতেও দেওয়া হত না। আবারও কি ফিরে আসতে পারে সেই বিভীষিকার দিন ?


আরও পড়ুন: 'জানুয়ারিতে শুধু চিনেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোতে পারে সাড়ে ৩০ লক্ষ'