পটনা : এক মাসে ১৭ জনের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বিহারের গ্রামে। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তিদের। যদিও করোনায় মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।


এক মাসের মধ্যে এতজনের মৃত্যুর ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে সবার মনেই। বিহারের বৈশালী জেলায় চক সিকন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। তবে কি মারণ রোগের কবলে পড়েছে মনসুখাপুর গ্রাম ? উত্তর দিতে নিজেই এগিয়ে এসেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জুহি পারভিন। তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল থেকে ১২ মে-র মধ্যে এই অঘটন ঘটে চলেছে গ্রামে। করোনায় আক্রান্ত হয়েই এই এক মাসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের তালিকাও শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও জেলার স্বাস্থ্য দফতর বা স্থানীয় বিধায়ক আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব সংক্রমণে মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেননি।


করোনায় মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জুহি পারভিনের স্বামী মুজাহিদ আনওয়ার। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে কমপক্ষে ৫০০ মানুষের বাস। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে অনেক বাড়ির সব সদস্যই এখন কোভিডে আক্রান্ত। প্রায় প্রতিদিনই মৃতদেহ নিয়ে যেতে হচ্ছে। ভয়ে এখন মনসুখাপুর ছেড়ে অন্য গ্রামে চলে যাচ্ছেন এলাকার মানুষ। এমনকী মনসুখাপুরের মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে চাইছেন না খুচরো ব্যবসায়ীরা।


জুহি জানিয়েছেন, গ্রামের বহু ঘরই এখন কোভিডে আক্রান্ত। যাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। পারভিনের স্বামীর দাবি, গ্রামে করোনার বিষয়ে বৈশালী জেলা প্রশাসনের প্রত্যেক আধিকারিককে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোভিডের কথা জানতে পেরেই তাঁরা আর এমুখো হচ্ছেন না। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক তেজস্বী যাদবকেও জানানো হয়। বিধায়কের অফিসে একজন ফোন তুললেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে একজন সিভিল সার্জনকে দিয়ে এলাকায় শিবির গড়া প্রয়োজন। কিন্তু সেদিকে নজর নেই প্রশাসনের। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও মানবাধিকার কমিশনকে দেখার আর্জি জানান আনওয়ার।