ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : করোনা রুখতে রাজ্যে জারি বিধিনিষেধের মধ্যেও রাস্তায় দাঁড়িয়েছ ডিউটি করে চলেছেন যে সব পুলিশকর্মীরা, তাঁদের জন্য হাজির এবার ‘বিকেলের চা’। উদ্যোক্তা বালিগঞ্জ ২১ পল্লি। ক্লাব সদস্যরা জানিয়েছেন, যতদিন চলবে কার্যত লকডাউন, ততদিন তাঁরা চালিয়ে যাবেন এই কাজ।
করোনা রুখতে রাজ্য জলছে কার্যত লকডাউন। গৃহবন্দি মানুষ। বন্ধ স্কুল-কলেজ-অফিস। খাঁ খাঁ করছে শহরের ব্যস্ত রাস্তা। তারই মধ্যে রোদ-জল-দুর্যোগ মাথায় করে রাস্তায় ডিউটি করে চলেছেন পুলিশকর্মীরা। করোনা আবহে তাঁদের জন্যই ‘বিকেলের চা’-এর ব্যবস্থা করেছে বালিগঞ্জ ২১ পল্লি। শুক্রবার গড়িয়াহাট মোড়ে কর্মরত পুলিশকর্মীদের হাতে চা-বিস্কুট, কেক এবং জলের বোতল তুলে দেন ক্লাবের সদস্যরা।
বিকেলে যখন সব দোকান বন্ধ, শহরের কোনও কোণায় পাওয়া যায় না এক কাপ চা, তখন পুলিশকর্মীদের জন্য গরম চায়ে চুমুক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ক্লাব সদস্যরা। গোলপার্ক থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত চলছে এই কাজ।
করোনার শৃঙ্খল রুখতে রাজ্যজুড়ে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। সকাল ৭ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজার, দোকান খোলা থাকছে। তারপর তা বন্ধ। মিষ্টির দোকান ১০ টা থেকে ৫ টা ও শাড়ি-গয়নার দোকান খোলা থাকছে ১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত। তাই বিকেলের দিকে বন্ধ সব ধরণের দোকানই। এর মাঝেই কোডিভ রুখতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন যে পুলিশকর্মীরা, তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
এমনিতে রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী। পজিটিভিটি রেট চিন্তা বজায় রাখলেও ক্রমশ কমছে সংক্রমণ, বাড়ছে সুস্থতাও। শুক্রবারের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিনে রাজ্যে গত একদিনে নতুন করে করোনা সংক্রমিত ১২ হাজার ১৯৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। এদিকে, এই সময়পর্বে রাজ্যে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৩৯৬ জন। রাজ্যে ডিসচার্জ রেট এই মুহূর্তে ৯০.৭০ শতাংশ। কিন্তু এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনার পজিটিভিচি রেট প্রায় ১১ শতাংশ।