নিউ দিল্লি : দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। সংক্রমণ রোখার জন্য মাস্ক একপ্রকার বাধ্যতামূলক। এতথ্য জানা প্রায় সকলেরই। তা সত্ত্বেও দেশে এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মানুষই মাস্ক পরেন না। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আবার যাঁরা মাস্ক পরেন, তাঁদের ৬৪ শতাংশের নাক ঢাকা থাকে না মাস্কে। এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
আজ এক প্রেস বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লাভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, দেশের ৮টি রাজ্যে এক লক্ষর বেশি সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছে। ৯টি রাজ্যে রয়েছে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ সক্রিয় কেস। এছাড়া ১৯টি রাজ্যে সক্রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম। কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু রাজ্যে পজিটিভির হার ২৫ শতাংশের বেশি রয়েছে। যা চিন্তার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি থেকে সাপ্তাহিক কোভিড পরীক্ষার ট্রেন্ড ঊর্ধ্বমুখী। গত ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক পরীক্ষাও গড়ে ২.৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তবে, গত ২ সপ্তাহে পজিটিভের হার কমছে। যেখানে দেশের ২১০টি জেলায় ২৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল, সেখানে ১৩-১৯ মে পর্যন্ত দেশের ৩০৩টি জেলায় পজিটিভের হার নিম্নমুখী।
এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। ICMR-এর তরফে বলরাম ভার্গভ বলেছেন, এ মাসের শেষের মধ্যে ২৫ লক্ষ এবং জুনের শেষে ৪৫ লক্ষ পরীক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। আরও Rapid Antigen Test করা উচিত। যাতে দ্রুত রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাতে রোগীকে আইনসোলেশনে রাখা যাবে।
এদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, মুকোরমাইকোসিস নাম ছত্রাক সংক্রমণ আমাদের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর আসছে। মূলত যাঁদের স্টেরয়েড থেরাপি চলেছে বা সুগার নিয়ন্ত্রণে নেই তাঁদের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গেছে।