চেন্নাই : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। সংক্রমণ ও মৃত্যুমিছিল লেগেই রয়েছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। করোনা মোকাবিলায় চলছে নিত্যনতুন গবেষণা। অন্যদিকে "করোনা দেবী" মন্দির তৈরি করলেন কোয়েম্বত্তুরের একদল মানুষ। 


এর আগে শতাধিক বছর আগে ছড়িয়ে পড়েছিল মহামারী প্লেগ। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তাতে। এর থেকে রক্ষা পায়নি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তুর জেলাও। বছরের পর বছর ফিরে আসে এই মহামারী। অনেকটা করোনার মতোই। সেই সময় প্লেগের উদ্দেশে একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল "প্লেগ মারিয়াম্মান মন্দির।" তাতে মূর্তিও স্থাপন করা হয়।


করোনায় নাস্তানাবুদ গোটা বিশ্ব। এর প্রকোপ থেকে বাদ যায়নি ভারত। তামিলনাড়ুতেও ফি দিন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের নিরিখে তামিলনাড়ুর মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কোয়েম্বত্তুর জেলা। সেখানেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেড ও অক্সিজেন তীব্র ঘাটতি দেখা যায় সম্প্রতি। সার্বিক পরিস্থিতির জেরে উদ্বিগ্ন জেলাবাসী। এই অবস্থায় কোয়েম্বত্তুর শহরের বাইরে ইরুগুরের কাছে কামাচিপুরমে একটি মন্দির বানিয়েছেন একদল মানুষ। কামাচিপুরম আদিনাম চত্বরে এই মন্দির স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ। 


এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, "করোনা দেবী একটি কালো পাথরের মূর্তি। যা ১.৫ ফুট দীর্ঘ। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই ভয়ঙ্কর রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করবে করোনা দেবী।" 




"করোনা দেবী"-কে উৎসর্গ করে দক্ষিণ ভারতে এটি দ্বিতীয় মন্দির। এর আগে কেরলের কোল্লাম জেলার কাদাক্কালে মন্দির গড়া হয়েছিল। এক পুরোহিত তাঁর বাড়িতে অস্থায়ীভাবে মন্দির স্থাপন করে এই মূর্তি বসিয়েছিলেন।


দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক তামিলনাড়ুতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৪ হাজার ৮৭৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এনিয়ে রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ২২৫ জন। এদিকে আজ থেকেই দক্ষিণের এই রাজ্য ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে। তিরুপ্পুরে আজ টিকাকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।