নয়া দিল্লি : ভ্যাকসিনের অভাব দূর করতে নয়া সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্রীয় সরকার। দ্রুত কোভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়াতে আরও কোম্পানিকে আহ্বান জানাতে চলেছে কেন্দ্র ও হায়দরাবাদের কোম্পানি ভারত বায়োটেক। খোদ কেন্দ্রীয় সরকার ও কোভ্যাকসিন নির্মাতাদের এই ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল।


দেশে ১৮ ঊর্ধ্বের জন্য টিকাকরণের ঘোষণা করতেই বেরিয়ে পড়ে ভ্যাকসিন জোগানের 'কঙ্কালসার চেহারা'। ১ মে ১৮-৪৫ বয়সিদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা হলেও হাত তুলে নেয় অনেক রাজ্য। প্রকাশ্যেই তারা জানিয়ে দেয়, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না এলে ১৮ প্লাসদের টিকা দিতে পারবে না রাজ্যগুলি। এই তালিকায় নাম লেখায় দিল্লি, পঞ্জাব, বিহার ছাড়াও আরও অনেক রাজ্য। যার জেরে মোদি সরকারের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। 


দেশে এই ভ্যাকসিনের অভাব দূর করতেই এবার একমত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারত বায়োটেক। এ প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল বলেন, ''জনগণ বলছে, কোভ্যাকসিনের উৎপাদনের দায়িত্ব আরও কোম্পানির হাতে দেওয়া হোক। আমি এটা বলতে পেরে খুশি যে, ভারত বায়োটেকের সঙ্গে এই বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। কোম্পানি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।''


এই বলেই থেমে থাকেননি নীতি আয়োগের সদস্য। তিনি জানান, কোভ্যাকসিন তৈরি করতে জীবন্ত ভাইরাসকে 'ইনঅ্যাকটিভেট' করতে হয়। যা কেবল BSL3 ল্যাবেই সম্ভব হয়। সব কোম্পানির কাছে এই ধরনের ল্যাবের সুবিধা নেই। সেকারণে সবার কাছে খোলা আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা কোভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে চায় তারা সরকারের সঙ্গে এই কাজ করতে পারে। কেন্দ্র এই বিষয়ে কোম্পানিকে সাহায্য করবে। যাতে দ্রুত বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায়।


সম্প্রতি দেশে টিকাকরণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন ভিকে পল। তিনি বলেন, ''৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ১৮ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। আমেরিকায় যেখানে ২৬ কোটি ডোজ পেয়েছে মার্কিন নাগরিকরা। বিশ্বের ভ্যাকসিনেশনের হিসেব বলছে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।''