কাঠমাণ্ডু : কোভিডের সংক্রমণ এবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে। পর্বত অভিযানের আয়োজকরা জানিয়েছেন, অভিযাত্রী দলের অনেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও এই কথা স্বীকার করেনি নেপাল পর্যটন মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, এখনও এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনও লিখিত রিপোর্ট জমা পড়েনি।
পর্যটন মন্ত্রক থেকে বলা হচ্ছে, কোভিডের কোনও সরকারি নথি জমা পড়েনি তাদের কাছে। যদিও অভিযাত্রী দলের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। এভারেস্টে কোভিড হানা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রফেশনাল আইরিশ রাগবি প্লেয়ায় ড্যামিয়েন ব্রাউনি। গত ২২ মে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে ব্রাউনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি এভারেস্ট অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত হন আরও তিন জন অভিযাত্রী। এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা।
পরবর্তীকালে এভারেস্টে কোভিড সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত করে 'ট্যাগ নেপাল' নামের একটি অভিযাত্রী দল। যারা নেপালে সেভেন সামিটস অভিযাত্রী প্রতিষ্ঠানের লোকাল পার্টনার। এই দলেই নাম লিখিয়েছিলেন ড্যামিয়েন ব্রাউনি। ট্যাগ নেপাল জানিয়েছে, কোভিডে চারজন অভিযাত্রী সংক্রমিত হয়েছিলেন। ট্যাগ নেপালের ডিরেক্টর সাগর পউডেল জিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে জানান, পিসিআর পরীক্ষায় ব্রাউনি ছাড়াও তিনজনের দেহে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।
সাগর আরও জানান, Rapid Test-এ আগেই ১১জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। যাদের মধ্যে চারজনের রিপোর্ট পিসিআর টেস্টেও পজিটিভ আসে। পরে তাদের কাঠমাণ্ডুতে নিয়ে আসা হয়। সব মিলিয়ে সেভেন সামিটস অভিযাত্রী দলের হয়ে ৩৯ জন এভারেস্ট অভিযানে এসেছিলেন।
ট্যাগ নেপাল, সেভেন সামিটস ছাড়াও এভারেস্টে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে মুখ খুলেছে অস্ট্রিয়ার ফার্টেনব্যাক অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানি। কোম্পানির ডিরেক্টর লুকাস ফার্টেনব্যাক জানিয়েছেন, এভারেস্টের বেসক্যাম্পে করোনার সংক্রমণের কথা আগেই খবর পেয়েছেন তিনি। তাই এভারেস্টে অভিযান বন্ধ রেখেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, নেপালের পর্যটন মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে প্রমাণও পেশ করেছেন তিনি। ১০ জনের করোনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁর আরও দাবি ,কমপক্ষে এবার এভারেস্টের বেসক্যাম্পে ১০০জন কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। অন্তত তেমনটাই বলছে, ডাক্তার, বিমা কোম্পানি ও অভিযাত্রী কোম্পানিগুলির রিপোর্ট।
এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন নেপালের পর্যটন মন্ত্রকের ডিরেক্টর মীরা আচার্য। জিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে সংক্রমণের খবর তাঁরাও পেয়েছেন। কিন্তু এই নিয়ে কেউ লিখিত নথি জমা দেননি।