হাওড়া: হাওড়ায় ভ্যাকসিনের লাইনে ধুন্ধুমার। ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধাক্কাধাক্কি। রাতের অন্ধকারে তৃণমূল পরিচালিত বেলডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কুপন বিলির অভিযোগ। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর
পুলিশের সঙ্গে বচসা।ধাক্কাধাক্কি।সোচ্চার দাবি,সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সবমিলিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড হাওড়ার পাঁচলার পানিয়াড়াতে।
রবিবার রাতেই স্থানীয় বেলডুবি পঞ্চায়েতের তরফে নোটিস দিয়ে বলা হয়, কুপন না থাকলে, ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না।


সোমবার সকালে তা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল পরিচালিত বেলডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কুপন বিলি করা হয়।  প্রধানের বাড়ি থেকে পঞ্চায়েতের সিলমোহর সাঁটানো কুপন দেওয়া হয় বেশ কিছুজনকে।
ঘটনা জানাজানি হতেই সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পানিয়াড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেষপর্যন্ত র্যা ফ নামাতে হয়।
এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বেলডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনকেই দেওয়া হচ্ছে।পঞ্চায়েতে আছি, কিন্তু আমি এ নিয়ে কিছু জানি না।
অন্যদিকে তৃণমূল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য,এই  ঘটনায় রাজনীতির যোগ নেই। সবাই সাধারণ মানুষ, এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। যারা কুপন পেয়েছেন তারা ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী। এমন ১৪০ জন সবজি বিক্রেতা, টোটো চালক ও অটো চালককে কুপন দেওয়া হয়েছে। 
হত্তাকত্তার বারবার বলছেন ভ্যাকসিন নিতে।মানুষ নাওয়া-খাওয়া ভুলে ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন।কিন্তু, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন কোথায়? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।


উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গাতেও ভ্যাকসিন নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটছে।   সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ফিরে যান। হাসপাতালের তরফে প্রথমে ৪৫ ঊর্ধব সকলের ভ্যাকসিনের কথা বললেও পরে নোটিস জানানো হয়, ভ্যান চালক ও সবজি বিক্রেতাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। হুগলির উত্তরপাড়াতেও ভ্যাকসিনের লাইন বিশৃঙ্খলার ছবি উঠে এল।সেখানেও এদিন ভোররাত থেকে ভ্যাকসিন নিতে লাইন দেন অনেকেই।অভিযোগ, বেলা বাড়তেই অনেকে লাইন ভেঙে আগে ঢুকতে চায়। ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।