কলকাতা: খাস কলকাতায় ফের করোনায় আক্রান্তের মৃতদেহ নিয়ে দুর্ভোগের ছবি। অবেশেষে এবিপি আনন্দর খবরের জেরে মিলল সুরাহা। সল্টলেকের করুণাময়ী আবাসন থেকে সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল করোনা রোগীর দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই ৮৪ বছরের গীতা কুমার করোনায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসা চলছিল। গতকাল তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর সন্ধে ৬টা নাগাদ বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। 


অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভা, বিধাননগর পূর্ব থানা ও স্বাস্থ্য ভবনে জানানো সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ আবাসনের ফ্ল্যাটেই পড়েছিল ওই করোনা রোগীর দেহ। আজ সকালে এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারিত হয়। তাতেই সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর, অবশেষে ওই করোনা রোগীর দেহ উদ্ধার করে বিধাননগর পুরসভা। দেহ উদ্ধারে গড়িমসির অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


শহর বা শহরতলি। কোথাও ১৯ ঘণ্টা, কোথাও ১২ ঘণ্টা পড়ে থাকছে করোনা রোগীর দেহ। প্রত্যেকেরই অভিযোগ বারবার ফোন করা সত্ত্বেও কেউ আসছেন না দেহ নিতে।  এর আগেও একাধিকবার করোনা আক্রান্তের দেহ নিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছে পরিবার।


গত ৭ মের ঘটনা, ভাটপাড়ায় ২০ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে ছিল মৃতদেহ। দুপুরে প্লাস্টিকে মৃতদেহ মুড়ে চলে যান পুরকর্মীরা। স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী জানান, রাত ১০ টার পরে দাহ করার নিয়ম, তাই অপেক্ষা করতে হয়েছে।  অন্যদিকে একই ছবি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। মৃত্যুর ৯ ঘণ্টার পরেও বাড়িতেই পড়ে এক করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃতদেহ। আজ সকাল ৮টা নাগাদ বাড়িতেই মৃত্যু বৃদ্ধের। অভিযোগ, থানা, পঞ্চায়েত, বিডিও অফিসে জানিয়েও হয়নি সৎকার। 


যদিও এই দীর্ঘ হয়রানির সমাধানে রাজ্যের তরফে মৃতদেহ সৎকারে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, মৃত্যুর তিন ঘণ্টার মধ্যেই করোনা রোগীর দেহ সৎকার করতে হবে।


এই কাজের জন্য নোডাল অফিসারও নিয়োগ করে রাজ্য। তাঁদের ফোন নম্বর দিয়ে জারি হয় বিজ্ঞপ্তিও। জানানো হয় দেহের শেষকৃত্যের সমস্ত কাজ করবেন ওই অফিসাররাই। খরচ বহন করবে পুরসভা। এরপরেও ছবিটা বদলায়নি।