নয়াদিল্লি: সেফ জোনের তকমা জুটেছে কদিন আগেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই এবার তৃতীয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিল দিল্লি। চিন থেকে ৬০০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার আনল কেজরিওয়ালের সরকার।
সোমবার দিল্লির মায়াপুরি এলাকায় অক্সিজেন প্লান্ট দেখতে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ''এই অক্সিজেন প্লান্টের ক্ষমতা ৫৫ মেট্রিক টন বাড়ানো হয়েছে। চিন থেকে এর জন্য ৬০০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হয়েছে। কোভিডকালে বাইরের দেশ থেকে এই ধরনের কোনও মালপত্র আনা হয়নি। এইচসিএল ও গিভ ইন্ডিয়া এই সিলিন্ডারগুলি দিল্লি সরকারকে দান করেছে। বিদেশ মন্ত্রক ও চিনের ভারতীয় দূতাবাস এই সিলিন্ডারগুলি আনতে আমাদের সাহায্য করেছে। এর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।''
এই বলেই থেমে থাকেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজধানীতে ইতিমধ্যেই তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ডিপো তৈরি করছে সরকার। যেখানে প্রতিটি ডিপোতে ২০০০ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা হবে। এই সিলিন্ডারগুলি চিন থেকে আনা হয়েছে। নতুন এই সিলিন্ডারগুলি আসার ফলে দিল্লিবাসীর অনেক সুবিধা হবে। প্রয়োজনে হোম আইসোলেশনের রোগীদের এই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি দেওয়া যাবে।এ ছাড়াও ৬০০০ নতুন সিলিন্ডারের মাধ্যমে দিল্লিতে আরও ৩০০০ অক্সিজেন বেড তৈরি করা যাবে।
রাজধানীতে কোভিড১৯-এর চেইন ব্রেক করতে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত ১৯এপ্রিল দিল্লির বুকে শুরু হয় এই লকডাউন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত রাজধানীতে এই লকডাউন জারি থাকবে। সম্প্রতি, দিল্লির কোভিড পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশের নীচে। যার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, দিল্লি এখন সেফ জোন। আগের থেকে দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের কোভিড ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে মন্তব্য করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যা নিয়ে কম বিতর্ক কম হয়নি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয় সিঙ্গাপুর। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন সিঙ্গাপুরর রাষ্ট্রদূত। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে বিদেশ মন্ত্রক। কেজরিওয়ালের মন্তব্য ভারতের মন্তব্য নয় বলে জানিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।