দিল্লি : করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবার নিত্যনতুন গবেষণা সামনে আসছে। কী করে বাড়ছে এত সংক্রমণ ? তা নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। মূলত শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে যে ড্রপলেট নির্গত হয় তা থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়। এই ধারণা আগে থেকেই রয়েছে। এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আরও একটি তথ্য উঠে এল। টয়লেট ফ্লাশ করলে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাবলিক রেস্টরুমগুলি সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। কারণ, এগুলি তুলনামূলকভাবে আবদ্ধ জায়গা হয়, অনেক মানুষ যাতায়াত করেন এবং যথেষ্ট ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকে না।  


গবেষকরা জানিয়েছেন, মল-মূত্র-বমি এবং জমা জলে বিভিন্ন ধরনের জীবণু পাওয়া যায়। ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসিয়েন অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ ভার্মা জানিয়েছেন, আমরা তিন ঘণ্টা ধরে শতাধিক ফ্লাশের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলাম। তাতে দেখা গিয়েছে, বদ্ধ পরিবেশে প্রতিটি ফ্লাশের সাথে সাথে হাজার হাজার ড্রপলেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ২০ সেকেন্ডের জন্য এই ড্রপলেটগুলি বিরাজ করে। ফ্লাশের সাথে সাথে এই সংখ্যাটাও বাড়তে পারে।


গবেষকরা আরও দেখেছেন, ঢাকনা বন্ধ থাকা অবস্থায় যদি টয়লেট ফ্লাশ করা হয় তাহলেও অল্প সংখ্যক ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়বে। টয়লেটের ঢাকনা এবং বসার জায়গার ছোটো ফাঁক দিয়ে বায়ুবাহিত হয়ে ড্রপলেট বেরিয়ে আসতে পারে। অধ্যাপক ভার্মা জানিয়েছেন, টয়লেট এবং প্রস্রাবাগার হয়ে প্রচুর সংখ্যক ড্রপলেট নির্গত হয়। এই ড্রপলেটের আয়তন ৩ মাইক্রোমিটারের থেকে কম। যার জেরে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। 


যখন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে তখন এই জীবাণু ইবোলা, নোরোভাইরাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর জেরে খাদ্যে মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে পারে। এমনকী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণও দেখা দিতে পারে। এমনটাই বলছেন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটিস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একদল বিজ্ঞানী।  


প্রসঙ্গত, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় জনসাধারণের ব্যবহার করা টয়লেটে ঢাকনা থাকে না। বা প্রস্রাবাগার অনাবৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।