কলকাতা : ফের বাড়িতে পড়ে থেকে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যুর। ২ দিনের চেষ্টাতেও সরকারি হাসপাতালে বেড না পাওয়ার অভিযোগ । ‘স্বাস্থ্যভবনের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও হল না সুরাহা’ অভিযোগ। ‘বিনা চিকিৎসায়’ তিলজলার ফ্ল্যাটে বৃদ্ধার মৃত্যু হল। 

মৃত্যুর পর দেহ সৎকারে দুর্ভোগে পরিবার । ১০ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে রইল মৃতদেহ । পুরসভায় বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ
অবশেষে ১০ ঘণ্টা পর সৎকারের ব্যবস্থা করল পুরসভা । 

অন্যদিকে, আজ এই একই ধরনের ঘটনা ঘটে গড়ফা থানা এলাকায়। কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট না থাকায় সাতাত্তর ঊর্ধ্ব মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ। দোকানে দোকানে ঘুরেও মেলেনি অক্সিজেন।  গতকাল রাত ৮টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে, অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু হয় সন্ধ্যারানি পালের। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা পর আসে করোনা পরীক্ষার পজিটিভ রিপোর্ট। মৃত্যুর পরও ১৬ ঘণ্টা ঘরেই পড়েছিল মৃতদেহ। এবিপি আনন্দের খবরের জেরে অবশেষে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ১৬ ঘণ্টা পর পুরসভার তরফ থেকে শববাহী শকট আসে। নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ।


 


একের পর এক একই ধরনের ঘটনার খবর রাজ্যজুড়ে। শহরের উপকণ্ঠে সোনারপুরে ১৫ ঘণ্টারও বেশি বাড়িতে পড়ে রইল কোভিড আক্রান্তের দেহ । ১৭ এপ্রিল আক্রান্ত হন প্রৌঢ় । ‘অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা , একাধিক হাসপাতালে ফোন করেও মেলেনি বেড ... চেষ্টা করেও মেলেনি অক্সিজেন, দাবি মৃতের ছেলের । মৃত্যুর পর থেকে দেহ পড়ে আছে বাড়িতে । প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ । 


ঘন ভিডিও কনফারেন্স চলছে...ভাষণ দেওয়া হচ্ছে...আর তারইমধ্যে প্রতিদিন করোনায় একটা একটা করে সর্বনেশে মাইলস্টোন ছুঁচ্ছে ভারত! আরও সংক্রমণ, আরও মৃত্যু! গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক করোনা সংক্রমণে ফের বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ভারত!  পরপর দু’দিন দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গেল! এ বাড়ার যে শেষ কোথায়, কেউ জানে না!    
 
দৈনিক সংক্রমণেও রেকর্ড....দৈনিক মৃত্যুতেও রেকর্ড! আগের চেয়ে আরও বেশি।লাগাতার তিনদিন ২ হাজারের উপরে দৈনিক মৃত্যু ভারতে।  


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতে আর গত দু’সপ্তাহের হিসেব ধরলে ১৫২% বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
উদ্বেগ চরমে তুলে এই মুহূর্তে ভারতে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৬১৬।  গত বছরের সর্বোচ্চ সক্রিয় রোগীর সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ এখন!