হিসার(হরিয়ানা) : যাবতীয় প্রোটোকল মেনে করোনায় ৩০০-র বেশি মৃতের দেহ দাহের বন্দোবস্ত করেছিলেন। অতিমারির শুরু থেকে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এই দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কিন্তু, সেই করোনা-ই প্রাণ কেড়ে নিল তাঁর। পজিটিভ রেজাল্ট আসার দুদিনের মাথায় মারা গেলেন ওই ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার তথা হরিয়ানার হিসার পুর নিগমের এক আধিকারিক।


প্রবীণ কুমার। ৪৩ বছর বয়স হয়েছিল। করোনায় মৃতদের দেহ যাবতীয় বিধি মেনে যাতে সৎকার করা হয়, তার জন্য হিসার পুর নিগমের তরফে একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রবীণ।


করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর শারীরক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। গতরাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। একথা জানান পুর নিগমের মুখপাত্র।


তিনি বলেন, "গত বছর থেকে উনি(প্রবীণ কুমার) করোনায় তিনশোর বেশি মৃতের দেহ দাহ করিয়েছেন। দুই দিন আগে সংক্রমিত হন। তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় মারা যান।"


প্রবীণ কুমর পুর নিগম সাফাই কর্মচারী ইউনিউনের সভাপতিও ছিলেন। কোভিড বিধি মেনেই আজ ঋষি নগরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।


এদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সময় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার জানান, আজ ৭ হাজার ৫০০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। করোনামুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, আগামীদিনে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমবে।


রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ঘুরে আসার পর গতরাতে চণ্ডীগড়ে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে স্বাস্থ্য সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণ রুখতে কৌশল গ্রহণ করতে হবে। 


তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেন, "যাঁদের হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা নেই, তাঁদের যেন গ্রামে তৈরি হওয়া নিকটবর্তী আইসোলেশন সেন্টারে এখনই পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এইসব সেন্টারে খাবার এবং বেডের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে পঞ্চায়েতকে।"