কলকাতা : ফেরানো যাবে না কোনও করোনা রোগীকে। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির পরে এবার নির্দেশ রাজ্য সরকারের। নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে, ‘করোনার রিপোর্ট না থাকলেও, ভর্তি করতে হবে রোগীকে। ভর্তির পর করতে হবে র‍্যাপিড টেস্ট।


প্রাথমিক প্রত্যাখানের বদলে, রোগীকে ভর্তি করতে হবে সন্দেহভাজনদের জন্য নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে। একান্ত বেড না থাকলে স্থিতিশীল করে তারপরই অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা যাবে। সব হাসপাতালকে নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর।


গত শনিবারই কোভিড রোগীদের ভর্তিতে বিলম্ব এড়াতে নতুন পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করে সাফ বলা হয়, হাসপাতালের দ্বারস্থ হওয়া কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না। যদি কোনও রোগীর কাছে কোভিডের রিপোর্ট নাও থাকে, সেক্ষেত্রেও তাঁকে ভর্তি নিতে হবে হাসপাতালে। সব হাসপাতালকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সন্দেহজনক রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার জন্য সেই ধরণের ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতেও বলা হয়।


এমনিতেই রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে করোনার মৃতের সংখ্যা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দিনে টানা সাতদিন শতাধিক রাজ্যবাসীকে করোনার জেরে হারিয়েছি আমরা। দৈনিক সংক্রমণ ঘোরাফেরা করছে ২০ হাজারের আশেপাশে। এই অবস্থায় টানাটানি হাসপাতালের বেড নিয়েও। কিন্তু চিকিৎসা থেকে যাতে মানুষ বঞ্চিত না হন, সেই জন্যই কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি মেনে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।


একঝলকে দেখে নিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেই সংশোধিত নির্দেশিকা-


কোভিড সন্দেহে ভর্তি হওয়ার আগে আবশ্যিক নয় কোভিড রিপোর্ট।


সন্দেহজনক রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতে হবে।


কোনওভাবেই ফেরানো যাবে না কোনও রোগীকে।


অন্য শহরের বাসিন্দা রোগীকেও ফেরানো যাবে না।


রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে ভর্তির সময়।


 কোভিডের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।