হায়দরাবাদ : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কেন এত সংক্রমণ বাড়ছে ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। তাহলে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের জেরে কি এমনটা হচ্ছে ? এনিয়ে গবেষকরা বলছেন, N440K ভ্যারিয়েন্টের জেরে এই হারে সংক্রমণ। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা ১০ গুণ বেশি।


B1.617 এবং  B1.618 ছাড়াও, দ্য সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি(CCMB) করোনা ভাইরাসের N440K ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পেয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া যায়। এটি মূল ভাইরাসের থেকে ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা সহ দেশের কিছু অংশে এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। 


তবে বিজ্ঞানীর বলছেন, মূলত দক্ষিণের রাজ্যগুলি যেমন-তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের কিছু অংশেই এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে। 


তেলুগুভাষী দুই রাজ্যে এক তৃতীয়াংশ সংক্রমণ হয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে। এবং করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এই সংক্রান্ত গবেষণায় হায়দরাবাদের দ্য সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি(CCMB) ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের অ্যাকাডেমি ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইনোভেটিভ রিসার্চের গবেষকরা আছেন।


ভারতে N440K ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতের সংখ্যা সবথেকে বেশি। প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর আগে এটা ছিল ৪.৯ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে তা দাঁড়ায় ৮.৮২ শতাংশে। ভারতের পরেই এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি আমেরিকা এবং জার্মানি।  


CCMB-র অধিকর্তা রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন, খুব কম সময়ের মধ্যে বৃহৎ সংখ্যার মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে N440K ভ্যারিয়েন্টের। 


এর পাশাপাশি CCMB জেনেটিকসের তরফে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তারা যে নমুনা সংগ্রহ করেছিল, তার ৫০ শতাংশের মধ্যেই N440K ভ্যারিয়েন্ট পাওযা গিয়েছে। এটা একটা নির্দিষ্ট অংশের মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। এবং অন্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে এটি স্থানীয় স্তরে বেশি ঘুরছে।


প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২২৯ জন সংক্রমিত। এনিয়ে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাল ৩৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ১১৩-তে।