মনিপুর: বিজেপি বিরোধী ফেসবুক পোস্টের জন্য গ্রেফতার সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী। ঘটনাটি মণিপুরের। জানা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া মণিপুরের বিজেপি নেতার প্রসঙ্গে নেটমাধ্যমে বিতর্কিত দুটি পোস্ট করেন ওই সাংবাদিক ও আর এক রাজনৈতিক কর্মী। এরপরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। 


সাংবাদিক কিশোরচন্দ্র ওয়াংখেম ও রাজনৈতিক কর্মী ইরেন্দ্রো লেইচমবমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির সহ-সভাপতি উশম দেবান ও সাধারণ সম্পাদক পি প্রেমানন্দন মিটেই। এরপর  বৃহস্পতিবার রাতে এই দুজনকে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের আদালতে তোলা হয়। দু-জনকে ১৭ মে অবধি পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ইম্ফলে মৃত্যু হয় বিজেপি সভাপতি সাইখোম টিকেন্দ্রর। তারপর ফেসবুকে কিশোরচন্দ্র ওয়াংখেম লিখেছিলেন,'গোবর ও গোমূত্র কাজ করে না। ভিত্তিহীন যুক্তি। আগামিকাল মাছ খাব।' অন্যদিকে একইভাবে ইরেন্দ্রো লিখেছিলেন,'করোনার পথ্য গোবর ও গোমূত্র নয়। বিজ্ঞানেই সুস্থ হতে পারেন।'


বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিশোরচন্দ্র ও ইরেন্দ্রোকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ এ (গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসায় প্ররোচনা) ও ৫০৫ (বি)(২) ধারায় (উস্কানি)  এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কিশোরচন্দ্র ওয়াংখেম ও রাজনৈতিক কর্মী ইরেন্দ্রো লেইচমবমের বিরুদ্ধে।


জানা গিয়েছে এর আগেও সাংবাদিক কিশোরচন্দ্রকে নেটমাধ্যমের পোস্টের কারণে দুটি ভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছিল মণিপুরের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।


এর আগেও দিল্লিতে মোদী বিরোধী পোস্টার লাগানোর অভিযোগে ১৭ জন গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি দেশে টিকার অপ্রতুলতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুলে পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছিল গোটা দিল্লি। ওই পোস্টারে হিন্দিতে লেখা, 'মোদিজি, আপনি ভ্যাকসিন বিদেশে কেন পাঠালেন?  খবর পেয়ে সেগুলি সরিয়ে ফেলে দিল্লি পুলিস। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় ১৭ জনকে।


এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতারা। পোস্টারের কথা টুইট করে রাহুল গান্ধীর লেখেন 'আমাকেও গ্রেফতার করা হোক'