ইয়াবতমল (মহারাষ্ট্র) : এ বড় দুঃসহ করোনাকাল। ভাইরাসের কোপে মৃত্যু। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু তো হচ্ছেই। এবার মদের বদলে স্যানিটাইজার খেয়ে মারা গেলেন ছয়জন। ঘটনা মহারাষ্ট্রের। ইয়াবতমল জেলার বাণী শহরের। করোনার প্রকোপ কমাতে আংশিক লকডাউন চলছে মহারাষ্ট্রে । বন্ধ মদের দোকান।
সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধের দিকে তিন ব্যক্তিকে মুখ ও পাকস্থলীতে জ্বলন নিয়ে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পরে তিনজনই মারা যান। জেলা পুলিশ সুপার দিলীপ ভুজবল জানান, মদের বদলে স্যানিটাইজার খাওয়ার ফলে গত দুদিন ধরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নাম দত্তা লাঙ্গেওয়ার (৪২), সুনীল ডেঙ্গড়ে (৩৫), ভারত রুইকার (৩৮)। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। অন্য যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তারা অবশ্য হাসপাতালে যায়নি। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। স্থানীয় স্তরে ঘটনাটির তদন্ত করছেন বাণী থানার অফিসার ডিবি ভাদিকর। প্রাথমিক তদন্তের পর তিনি জানান, প্রথম ঘটনায় তিন ব্যক্তি কোথাও মদ না পেয়ে স্যানিটাইজার খান। ধারণা ছিল, স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকে। তাই তা মদের বিকল্প হতে পারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁদের বাঁচানো যায়নি। পৃথক আরেকটি ঘটনায় স্যানিটাইজার খেয়েই তিনজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়নি।
ঘটনার জেরে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন জারির ব্যাপারে জোর সওয়াল করেছেন কৃষক নেতা কিশোর তিওয়ারি। তাঁর বক্তব্য, বর্তমান যে লকডাউনের নীতি তা ব্য়ুমেরাং হতে পারে। মানুষ লকডাউনে আর বাধানিষেধে ক্লান্ত। তাঁর আরও দাবি, দিনে চারঘণ্টা যেমন অতি প্রয়োজনীয় পরিষেবামূলক দোকান খোলা থাকছে, স্থানীয় স্তরে মদের দোকানও খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত। যাতে করে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করছে মহারাষ্ট্রও । গত কদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ষাট হাজারেরও বেশি। এরইমধ্যে মন্ত্রী নবাব মালিক ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের সব নাগরিককে ফ্রিতে ভ্যাকসিন দেবে সরকার। পয়লা মে থেকে আঠেরো বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।