হায়দরাবাদ : দেশের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ দেখে লকডাউনের পথে হেঁটেছে একাধিক রাজ্য। যদিও তেলেঙ্গানায় লকডাউনের পক্ষে নন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কী বলেছেন রাও ?


নিজেও কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সম্প্রতি সুস্থ হয়ে ফের টিম মিটিং করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাও বলেন, ''রাজ্যে আমি লকডাউনের পক্ষে নই। একবার লকডাউন শুরু হলে রাজ্যের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। সব থেকে সমস্যায় পড়বেন শ্রমিকরা। যেসব রাজ্যে লকডাউন হয়েছে, সেখানেও কোভিড গ্রাফ কমেনি।''


তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর মতে, রাজ্যে লকডাউন করে কোনও লাভ হবে না। এখানে বাইরের রাজ্যের কমপক্ষে ২৫-৩০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করেন। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় লকডাউন জারি করা হয়েছিল। সেই সময় এই শ্রমিকদের ভয়াবহ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। বর্তমানে রাজ্যে বিপুল পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে। যা রাখার জন্য ৬১৪৪টা সংগ্রহশালা করা হয়েছে। বাইরের রাজ্যের শ্রমিক যদি রাইস মিলে না কাজ করেন, তাহলে এই বিপুল পরিমাণ ধানের কী হবে ?


তবে তেলেঙ্গানায় লকডাউন না হলেও কন্টেনমেন্ট জোনের পক্ষপাতী কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর কথায়, রাজ্যের কোন অঞ্চলগুলিতে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তা চিহ্ণিত করা হচ্ছে। মাইক্রো লেভেলে কন্টেনমেন্ট জোন করে কোভিড পরিস্থিতি শোধরানো হবে তেলেঙ্গানায়। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেসিআর। রাও জানান, প্রধানমন্ত্রীকে আরও অক্সিজেন ও রেমডিসিভির পাঠানোর জন্য বলেছেন তিনি।


মুখ্যমন্ত্রীর মতে, হায়দারাবাদ মেডিক্যাল হাব হওয়ায় এমনিতেই এখানে হাসপাতালের বেড ও অক্সিজেনের চাহিদা বেশি। বর্তমানে বাইরের রাজ্যের ৫০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে হায়দরাবাদে। ফলে রাজ্যের ওপর স্বাভাবিকভাবেই একটা চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে খোদ রাজ্যের রোগীদের বেড, অক্সিজেন ও রেমডিসিভির পেতে সমস্যা হচ্ছে।


সম্প্রতি রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা না করলেও রাজ্যবাসীকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আহ্বান জানিয়েছেন রাও। সংক্রমণ রুখতে ভিড়ে ঠাসা জায়গা এড়ানোর কথা বলেছেন তিনি। বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।