দিল্লি : করোনা চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪০০০ কোচকে প্রস্তুত করল রেল। জানানো হয়েছে, এই সমস্ত কোচে মোট ৬৪,০০০ বেড থাকছে। ইতিমধ্যেই ১৬৯টি কোচ বিভিন্ন রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানায় রেলমন্ত্রক। নাগপুর, ভোপাল, তিহির জন্য মোবাইল কোভিড কেয়ার কোচ বানানো হয়েছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর। 


ইতিমধ্যেই নাগপুর কমিশনার, নাগপুর মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি MoU সাক্ষর করেছে ভারতীয় রেল। ইন্দোরের তেহরি স্টেশনেও ২০টি কোভিড কেয়ার কোচ রাখা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রবিবার মোট ৩৮১৬টি ট্রেনের কোচ করোনা রোগীদের কোয়ারেন্টিন করার জন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে। সেখানে করোনা রোগীদের জন্য রয়েছে মোট ৩২০টি শয্যা। পাশাপাশি রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ অন্যান্য সমস্ত সুবিধা রয়েছে এই কোচগুলিতে। উল্লেখ্য, নাগপুরের অজনি কনটেইনার ডিপোতে কোভিড কেয়ার কোচ মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ১১টি কোচে সবমিলিয়ে মোট ১৭০ জন রোগীকে জায়গা দেওয়া যাবে। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ত্রস্ত গোটা দেশ। সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে হাসপাতালে বেড পেতে কার্যত নাভিঃশ্বাস উঠেছে সাধারণের। দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২,৭৬৭ জনের। করোনাকালে তাই বহুদিন থেকেই বিশেষ পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় রেল। অক্সিজেন সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। দিনকয়েক আগে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছিলেন, এই ট্রেনের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে এবং অনেক দ্রুত অক্সিজেন পাবেন রোগীরা। গ্রিন করিডর করে এই ট্রেন পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


শুধু অক্সিজেন এক্সপ্রেস নয়। ট্রেনের মধ্যেই আইসোলেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে পীযূষ গোয়েল জানিয়েছিলেন, রাজ্যগুলির চাহিদার উপর ভিত্তি করে ট্রেনে মোট ৩ লক্ষ আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা করা সম্ভব। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, "দিল্লির শকুর বস্তি স্টেশনে ৫০টি আইসোলেশন কামরায় মোট ৮০০ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনেও ২৫টি কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।"