দিল্লি : শুধুমাত্র উপসর্গ রয়েছে এমন স্বাস্থ্যকর্মীদেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে। রেজাল্ট পজিটিভ এলে তাঁরা আইসোলেশনে থাকবেন। তবে, উপসর্গহীনদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে না। এইমস-এর এই নির্দেশিকার প্রতিবাদ জানাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। বিরক্তি প্রকাশ করে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, এই নির্দেশিকা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণের নিদর্শন। অথচ এই করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের এবং নিজেদের পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপদে ফেলেও কাজ করে চলেছেন। শুধু তাই নয়, এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠিও লিখেছে আইএমএ। 


চিঠিতে আইএমএ-র তরফে বলা হয়েছে, যখন কোনও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন এবং শরীরে উপসর্গহীন কোভিড তৈরি হয়, তখন সেই স্বাস্থ্যকর্মীও এই ভাইরাসের বাহক। রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় তিনিও সংক্রমণ ছড়িয়ে ফেলতে পারেন। কর্মীর ঘাটতি রয়েছে বলে এই ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষা না করানো পুরো চিকিৎসা সম্প্রদায়ের কাছে প্রাণঘাতী-স্বরূপ।


এইমসের বিবৃতি তুলে ধরে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, যদি স্বাস্থ্যকর্মীর উপসর্গ থাকে, তাহলে তাঁকে পরীক্ষা করা হবে। রেজাল্ট পজিটিভ এলে মাত্র ১০দিনের কোয়ারেন্টিনের অনুমতি দেওয়া হবে। এটা স্বাস্থ্যকর্মীদের ন্যূনতম অধিকারের লঙ্ঘন। একজন নাগরিক হিসাবে তাঁর ন্যূনতম যত্ন, সহযোগিতা প্রাপ্য। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের গাইড লাইনেও বলা আছে, উপসর্গ দেখা দিলে ন্যূনতম ১৭ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।  


আইএমএ-র দাবি, এইমসের উদাহরণ তুলে ধরে অন্য অনেক হাসপাতাল একই পথ অনুসরণ করছে। পাশাপাশি চিঠিতে সংগঠনের তরফে আর একবার স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতির কথা বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় NEET PG এবং INCET PG পরীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১.৭৮ লাখ চিকিৎসক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছেন। পরীক্ষা না হলে, তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন না।


প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল এইমসের তরফে বলা হয়, সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি এবং কর্মীর ঘাটতির বিষয়ে নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র উপসর্গ রয়েছে এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। যাঁদের পজিটিভ রেজাল্ট আসবে তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানো হবে। এবং উপসর্গহীনদের কোয়ারেন্টিন বন্ধ থাকবে।