কলকাতা: প্রতি রবিবার টিকাকরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। সপ্তাহে ৬ দিনই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ। রবিবার টিকাকরণের হিসেব নিকেশের কাজ হবে, জানাল হল বিজ্ঞপ্তিতে।
অন্যদিকে, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে টিকাকরণ বন্ধ থাকবে ৫দিন। ২৫, ২৬, ২৯ এপ্রিল, ১ ও ২ মে বন্ধ থাকবে টিকাকরণ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।
বাংলায় করোনা ভ্যাকসিন সঙ্কট চরমে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আসছে ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড ডোজ। কাল বিকেলে এয়ার এশিয়ার বিমানে পৌঁছবে সিরামের তৈরি করোনা প্রতিষেধক। এর আগে গত পরশু, কোভিশিল্ডের ৫ লক্ষ ডোজ এসেছিল রাজ্যে।
রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করেনা। সংক্রমণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যেতেই ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। কলকাতা থেকে জেলা-- ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত নাকাল সাধারণ মানুষ। এনআরএসে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন পেলেন না অধিকাংশই। ভ্যাকসিনের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরলেও, দিনের শেষে শুধু ভোগান্তিই প্রাপ্তি সাধারণ মানুষের।
শনিবার ভ্যাকসিনের আশায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন কয়েকশো মানুষ। কিন্তু তাঁদের বড় অংশই ভ্যাকসিন পায়নি।পরিস্থিতি সামাল দিতে কুপনের ব্যবস্থা করেছে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। যাঁরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না তাঁদের অন্য দিনে আসতে বলে কুপন দেওয়া হচ্ছে।জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের ভাঁড়ারে নেই ভ্যাকসিন, তাই জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে শনি ও রবিবার বন্ধ করোনার ভ্যাকসিনেশন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর ভ্যাকসিন না পাওয়ায় আরও বাড়ছে উদ্বেগ।ভোগান্তির একই ছবি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালেও। যেখানে শনিবার জানিয়ে দেওয়া হয় ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজই মিলবে না। চাহিদা জোগানের অঙ্ক না মেলায় বৃহস্পতিবার থেকে কাটোয়া পুরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বন্ধ ভ্যাকসিনেশন। স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এপর্যন্ত বাংলায় করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৯৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৫২ জন।
ভ্যাকসিন নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু, তা নিতে গিয়ে আবার যেভাবে কোভিড বিধি ভঙ্গ হচ্ছে, তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকৎসকরা।কলকাতার শম্ভুনাথ পন্ডিত থেকে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সর্বত্রই ভ্যাকসিনেশনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার ছবি। এরইমধ্যে আশার খবর হল, শুক্রবার বিকেলে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৫ লক্ষ ডোজ শহরে এসে পৌঁছেছে।