রামপুরহাট: রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তীব্র অক্সিজেন সঙ্কট। অক্সিজেনের অভাবে আজই ৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু। এমনটাই অভিযোগ মৃত করোনা রোগীর পরিজনদের। সঙ্কট ছিল, অক্সিজেন পেয়েছি, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। সঙ্কট নিয়ে জানালেন অধ্যক্ষ করবী বড়াল।


এক রোগীর আত্মীয়র অভিযোগ, অক্সিজেন যখন চাইছি, তখন পাচ্ছি না। আজই অক্সিজেনের অভাবে ৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রীতিমতো হাঁফাতে হাঁফাতে সংশ্লিষ্ট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, "আমার মা রয়েছে। তাঁর ৭০-৭৫ বছর বয়স। কাল থেকে অক্সিজেন ছিল না। আজ এসেছে। নিজেদের টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।" আর এক রোগীর আত্মীয় জানান, সকালে দশটা অক্সিজেন সিলিন্ডার ইমারজেন্সিতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি রোগীদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির। কিছু বললে অজুহাত সাপ্লাই নেই কী করব। রোগীর আত্মীয়দের কথায়, ওয়ার্ডের নার্স এবং ওয়ার্ড বয় তারা প্রত্যেকেই সহযোগিতা করছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা। অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনরকম সহযোগীতা করছে না।


স্পষ্টতই, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রোগীর আত্মীয়দের সেবা সুশ্রুষা করতে হচ্ছে। মৃত্যু হচ্ছে করোনা রোগীর। এত বড় হাসপাতাল কেন অক্সিজেন জোগাড় করা যাচ্ছে না? অক্সিজেন যখন জোগাড় করা যাচ্ছে না তখন বিকল্প ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না? উঠছে সেই প্রশ্ন। অন্যদিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেও অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্টোরে পড়ে রয়েছে অনেক খালি সিলিন্ডার। এই পরিস্থিতিতে ঘোরতর সমস্যায় রোগীরা। দুর্গাপুর থেকে অক্সিজেন রিফিল হয়ে আসতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।


উল্লেখ্য, গতকালই আরও ৯৩টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য। ইতিমধ্যেই ৫টি প্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। পাইপলাইনের মাধ্যমে সব হাসপাতালে সরবরাহ করা হবে অক্সিজেন। গতকাল রাজ্যের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়। শুধু তাই নয়, রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও অভাব নেই এমনটাই দাবি করেছিল রাজ্য। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দেখা গেল অন্য ছবি।