নয়াদিল্লি: সিরামের ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে এবার মোদিকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, একই সংস্থার একই ভ্যাকসিনের দাম ৩ রকম কী করে হয়? কী করে কেন্দ্রীয় সরকার এর অনুমতি দিল? কেন কেন্দ্রের জন্য ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট করা হল?


চিঠিতে সনিয়া গাঁধী উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী ভ্যাকসিন-নীতি হওয়া উচিত ছিল। ভ্যাকসিন-নীতি পুনর্বিবেচনা চাই, দাম একই রাখা হোক। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দাবি সনিয়া গাঁধীর। তিনি লিখেছেন, দেশজুড়ে অক্সিজেন, বেড, ওষুধের সঙ্কট। তাঁর প্রশ্ন, সঙ্কটের সময় কেন এরকম অসংবেদনশীল পদক্ষেপ?


গতকালই বড় ঘোষণা করল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে কোভিশিল্ডের দাম ঘোষণা করা হল। সংস্থা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলির জন্য ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ, সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের এক-একটি ডোজ মিলবে ৪০০ টাকায়। 


অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা। দেশে বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশের করোনা ভ্যাকসিনের দাম উল্লেখ করে সিরামের তৈরি কোভিশিল্ডের দাম তুলনায় অনেকটাই কম বলে দাবি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার। 


আমেরিকার ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ভারতীয় মুদ্রায় দেড় হাজার টাকা। রাশিয়ান ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৭০০ টাকা। চিনা ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দামও ভারতীয় মুদ্রায় ৭৫০ টাকা। 


এদিনই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের উপর আরও চাপ বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভ্যাকসিনের একটাই দাম নির্ধারণ করা হোক। টুইটারে এই দাবি তুললেন মমতা। তিনি লেখেন, বিজেপি সবসময় এক দেশ, এক দল, এক নেতা বলে চিৎকার করে। কিন্তু, মানুষের জীবন বাঁচাতে ওরা ভ্যাকসিনের একটাই দাম নির্ধারণ করতে পারে না। আরও লিখেছেন, জাতি, ধর্ম, বয়স, জায়গা- নির্বিশেষে সকল ভারতীয় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন চান। ভারত সরকারের উচিত কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য একটাই দাম ঠিক করা- তা সে কেন্দ্রই দিক বা রাজ্যগুলি।