নয়াদিল্লি: ৪৫ ঊর্ধ্বদেরও টিকাকরণ চলবে, বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথভাবে করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ চলছে। একইসঙ্গে কেন্দ্র উল্লেখ করেছেন ১৮ থেক ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ ধীর গতিতে শুরু হবে শনিবার থেকে। তবে তা স্বাভাবিক গতিতে আসবে দ্রুতই।


কেন্দ্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে যেসব রাজ্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে কিনেছে তারা আগামীকাল থেকে টিকাকরণ শুরু করতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গ সহ পঞ্জাব, গুজরাত, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র জানিয়েছে তাদের কাছে এখনই যথেষ্টা টিকা নেই। তাই আগামীকাল থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, তৃতীয় দফার টিকাকরণের আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। তার আগেই এই খবর সামনে এসেছে।


এদিন কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশে অক্সিজেন সঙ্কট নেই। যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তা নিছকই কালোবাজারির জন্য বলে দাবি কেন্দ্রের। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, অক্সিজেনের ট্যাঙ্কারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যগুলিকেও গ্রিন করিডর তৈরির কথাও বলেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে করোনা সম্পর্কে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, আমরা হয়ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু ভাইরাস নয়। একইসঙ্গে তারা বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত না করার আবেদন জানিয়েছে।


এদিকে কেন্দ্রের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন-নীতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট।আদালতের প্রশ্ন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কেন ১০০ শতাংশ  ভ্যাকসিন কিনে নিচ্ছে না? কেন একাংশ কিনে বাকিটা নির্মাতা সংস্থার ওপর ছেড়ে দেওয়া হল। রাজ্যগুলির চাহিদার সমতা রক্ষা কীভাবে ঠিক করবে টিকা নির্মাতা সংস্থা? কোন রাজ্য আগে, কোন রাজ্য পরে ভ্যাকসিন পাবে, তা নির্ধারণের নীতি কী?’


সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ১৮-৪৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ঠিক কত, জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত বলেছে, ‘টিকা তৈরিতে বেসরকারি সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ শুরু করেছে। টিকা তৈরিতে কেন্দ্র বিনিয়োগ করুক, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।টিকা নিয়ে এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট।