অগাস্ট মাসে এই রায় দেয় মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট। অভিযুক্তকে তারা নির্দেশ দেয়, অভিযোগকারিণীর বাড়ি গিয়ে তাঁকে দিয়ে নিজের হাতে রাখি বাঁধাতে। জামিন পাওয়ার শর্ত এটাই। অভিযোগকারিণী বিবাহিত, ওই ব্যক্তি তাঁর প্রতিবেশী, জোর করে সে তাঁর বাড়ি ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন ৯ আইনজীবী। তাঁদের বক্তব্য, এ ধরনের মামলায় জামিন পাওয়ার জন্য এমন হালকা শর্ত মহিলার মানসিক যন্ত্রণাকে গুরুত্বহীন করে দেয়। ওই অভিযুক্তকে আবার অভিযোগকারিণীর বাড়ি ঢুকে তাঁর মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে আদালত। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে রাখিবন্ধনের মত ভাই ও বোনের একটি অনুষ্ঠানকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় জামিন পাওয়ার জন্য ব্যবহার করে অথবা অভিযোগকারিণীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করিয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে মহিলারা এ ধরনের ঘটনায় অভিযোগ জানানোর পথেই হাঁটবেন না। এমনিতেই এমন ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য অভিযোগকারিণীর ওপর চাপ থাকে। জামিনের এমন শর্ত তাঁদের ওপর সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে।
সম্ভবত ১৬ তারিখ এই মামলার শুনানি।