শিলিগুড়ি: মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি আদালত। বিচারকের নির্দেশ, মৃতের পরিবারের সদস্য ও তিনজন চিকিত্সিকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার রাতের অন্ধকারে পুলিশ-প্রশাসন জোর করে মৃতের ময়নাতদন্ত করেছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে জলপাইগুড়ি আদালতে মৃতের ফের ময়নাতদন্তের আবেদন জানান জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি আদালত।
দলীয় কর্মীর মৃত্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই বিজেপির হেভিওয়েটরা ময়দানে নেমে পড়েছেন। মঙ্গলবার নিহত উলেন রায়ের বাড়িতে যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সাংসদদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী। রাজ্য পুলিশ কিংবা সিআইডি-র তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান নিহতের আত্মীয় মেনকা রায়। তিনি বলেন, পুলিশ কেন মারল? সিবিআই চাইছি। তিনটে বাচ্চা নিয়ে কী করব? উলেনের রায়ের মৃত্যুর পর কার্যত অকুলপাথারে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাদের দাবি, উলেন একসময়ে সিপিএম সমর্থক ছিলেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
জলপাইগুড়ির মন্তাধরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উলেনের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, তিন সন্তান ও বয়স্ক বাবা। আয়ের সংস্থান বলতে একটি ছোট্ট বাগান। পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে পাওয়া সেই চা বাগানের রোজগার থেকেই আসত ভাতের জোগান।
সোমবার যে জায়গায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়, মঙ্গলবার সেখানে যান সিআইডি-র এক আধিকারিক। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। যদিও, সিআইডি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই চেয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তও চায় তারা। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, সিআইডি তদন্ত মানছি না। একাধিক জায়গায় হয়েছে। ফল হয়নি। রাতের অন্ধকারে ময়না তদন্ত হয়েছে, আবার করতে হবে, দাবি করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
এনিয়ে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, একটা বডি পাওয়া গেছে, সেটা ছাড়তে চাইছে না। পুলিশ রিপোর্টকে ভিত্তি করে আমরা সুনিশ্চিত যে, কাল প্ররোচনা সত্ত্বেও পুলিশ গুলি চালায়নি। তাদেরই শট গান থেকে গুলি লাগে। সেই অবস্থায় সহ্য করতে পারেনি। নিজেরা নিজেদের লোককে খুন করে রাজনীতি করে, তার নিন্দার ভাষা নেই। তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, পুলিশ গুলি না চালালে কে চালাল? পুলিশ খুঁজে বার করুক। ওদের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মিশে ছিল। যদিও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান - বিমান বসু বলেছেন, যাই হোক, দুঃখজনক। তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশের হাতে না ওরা মেরেছে জানি না। আমাদের দাবি, কীভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখা উচিত। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের দাবি, পুলিশ বললেই ঠিক বলে ধরে নেওয়ার কারণ নেই। বিজেপিকে বলছি, পরের বার শান্তভাবে আন্দোলন করুন।
মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ জলপাইগুড়ি আদালতের, সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
08 Dec 2020 08:30 PM (IST)
দলীয় কর্মীর মৃত্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই বিজেপির হেভিওয়েটরা ময়দানে নেমে পড়েছেন। মঙ্গলবার নিহত উলেন রায়ের বাড়িতে যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সাংসদদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -