আমদাবাদ : দেশের ভ্যাকসিন সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী হল ভারত বায়োটেক। কোম্পানি জানিয়েছে, এবার থেকে গুজরাতে আরও ২০ কোটি কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত করবে তারা। সব মিলিয়ে বছরে ১০০ কোটি ডোজের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত বায়োটেক।
বৃহস্পতিবার কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে, গুজরাতের অনক্লেশ্বর শাখায় আরও ২০ কোটি কোভ্যাক্সিন তৈরি করবে কোম্পানি। চিরন বেহরিং প্রোডাকশন প্লান্টে এই কাজ হবে। জিএমপি-র সুবিধাপ্রাপ্ত গুজরাতে প্রোডাকশন ইউনিট তৈরি থাকায় বছরে ২০ কোটি ভ্যাকসিন ওই ইউনিট থেকে প্রস্তুত করা যাবে।
ভারত বায়োটেকের তরফে বলা হয়েছে, ওই ইউনিটে ইন-অ্যাকটিভেডেট ভেরোসেল প্লাটফর্ম টেকনোলজিতে ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়। মূলত, রেবিস ভ্যাকসিন তৈরি করে ভারত বায়োটেকের সহকারী চিরন বেহরিং ইউনিট। জিএমপি ও বায়োসেফটির কড়া নিয়ম মেনে ওই ইউনিটে কাজ চলছে। সেখানেই কোম্পানির আরও কোভ্যাক্সিন তৈরি হবে। কোম্পানি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তাদের হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু ক্যাম্পাসে একাধিক প্রোডাকশন ইউনিট চালু করেছে তারা।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ। ফের ভারতের কোভিড ভ্যারিয়েন্ট B.1.617 নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO-এর দাবি, শুধু ভারতে নয়, দেশের এই ভ্যারিয়েন্ট এখন বিশ্বের মাথাব্যাথার কারণ। যদিও আমেরিকার দাবি, তাদের ভ্যাকসিনে ধ্বংস হয় ভারতের কোভিড ভ্যারিয়েন্ট। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিফ মেডিক্যাল অফিসার অ্যান্থনি ফসি। তিনি বলেন, ''আমেরিকায় যে ভ্যাকসিনগুলি দেওয়া হচ্ছে তা 617 কে নিউট্রিলাইজ করতে সক্ষম। এই ভ্যাকসিনগুলি ভারতের ভ্যারিয়েন্ট থেকে সম্ভবত মানুষকে সুরক্ষা দেবে।''
এ প্রসঙ্গে ভারতের কোভিড ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণাও তুলে ধরেন 'ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস' (NIAID) ডিরেক্টর। তিনি বলেন, ''B1618 ও B617 দুই ভ্যারিয়েন্টকে ভারতেই প্রথম দেখা যায়। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ২.৫ ফোল্ড টাইটার টেস্টে সেই ভ্যারিয়েন্ট ধ্বংস হয়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরে অনবরত গবেষণার ফলেই এই বিজ্ঞানভিত্তিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাই কেন সবার ভ্যাকসিন নেওয়াটা জরুরি তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।''