বিহারের হাসপাতালগুলি নরকতুল্য, নীতীশ সরকারকে তোপ তেজস্বীর
পটনা: ‘কোথাও যদি নরক বলে কিছু থাকে, তাহলে সেটা বিহারের হাসপাতালগুলিতেই।’ ঠিক এই ভাষাতেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নীতীশ কুমার সরকারকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছি, ১ নম্বর পোলো রোডের বাংলোয় কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করেছি। বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ওষুধ এবং করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁদের সঙ্গে থাকা লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারের কাছে আমার আবেদন, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এই কোভিড কেয়ার সেন্টারটির উন্নতিতে সাহায্য করা হোক।’
মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কেরল, পশ্চিমবঙ্গের মতোই বিহারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে নীতীশ সরকার।
তেজস্বী যে সরকারি বাংলোটিতে কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করার কথা জানিয়েছেন, সেটি তাঁর জন্য দু’বছর আগে বরাদ্দ করা হয়। ২০১৫ সালে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ৫, দেশরত্ন মার্গের বাংলোটিতে থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু নীতীশ জোট ভেঙে এনডিএ-তে যোগ দেওয়ায় পদ হারান তেজস্বী। তবে তারপরেও তিনি দেশরত্ন মার্গের বাংলোটি ছাড়তে চাইছিলেন না। সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে আদালত তেজস্বীর বিরুদ্ধেই রায় দেয়। ফলে ওই বাংলো ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তবে ১ নম্বর পোলো রোডের বাংলোয় না গিয়ে ১০, সার্কুলার রোডে মা রাবড়ি দেবীর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন তেজস্বী। তিনি যে বাংলোয় কোনওদিন থাকেননি, সেখানেই এবার কোভিড কেয়ার সেন্টার গড়ার কথা জানালেন।
তেজস্বীকে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি বলেছেন, ‘চিকিৎসক, চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম এবং স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া শুধু কয়েকটা বেড রেখে দিলেই হাসপাতাল হয়ে যায় না। তেজস্বী যাদবের দুই বোন তো চিকিৎসক। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের পরিষেবা কেন নেওয়া হচ্ছে না? আরজেডি নেতৃত্ব যদি গরিব মানুষের সেবা করতে চাইতেন, তাহলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে হাসপাতাল গড়ে তুলতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা সেটা করেননি।’