নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারী রুখতে, প্রাণরক্ষা করতে অনবরত ভারত লড়াই করে চলেছে ঠিকই কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কোনও ওষুধের সন্ধান মেলেনি যা এই রোগকে সারিয়ে ফেলবে এক লব্জে। সেই ওষুধের  লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ভারত বায়োটেক। গবেষণার স্বার্থে পরীক্ষামূলক অবস্থায় থাকা ওষুধ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার অনুমতিও তারা সম্প্রতি পেয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র থেকে। সংস্থার কর্ণধার ডঃ কৃষ্ণ এলা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তাঁরা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষেধক তৈরি করার জন্য কাজ চালিয়ে তিনটি পৃথক পৃথক গবেষণা সংস্থার সঙ্গে। সংস্থা তিনটি হল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর), টমাস জেফার্সন বিশ্ববিদ্যালয় এবং উইসকনসিন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়। আইসিএমআর ও পুণা-র ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সঙ্গে যে গবেষণাটি করা হচ্ছে প্রতিষেধক তৈরির জন্য, তা মানুষের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের অনুমতি ডিসিজিআই দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডঃ কৃষ্ণ এলা। এই ধরনের ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার জন্য বায়ো সেফটি লেভেল ৩ (বিএসএল৩)একান্ত প্রয়োজন যা পেতে এক্ষেত্রে সহায়তা করেছে পুণার গবেষণা সংস্থাটি। এতে গবেষণার কাজে গতি আনতে সুবিধা হয়েছে। বিএসএল৩ ব্যবহারের ব্যাপারে ভারত এই মুহূর্তে চীন এবং আমেরিকার থেকে অনেকখানি এগিয়ে আছে বলে তাঁর দাবি।


ডিসিজিআইয়ের অনুমতির ভিত্তিতে দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে রোগীর দেহে সক্রিয় কোভিড ভাইরাসের উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে। হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স থেকে দিল্লি এইমস-সহ মোট ১২টি হাসপাতালে পরীক্ষা চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। ১২ টি শহরের ১ হাজার ১২৫ জনের উপর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা চালানো হবে। ১২ থেকে ৬৫, নানা বয়সের নাগরিকের উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখা হবে। গত তিন মাসে ইতিমধ্যেই নেংটি ইঁদুর, ধেড়ে ইঁদুর এবং খরগোসের উপরে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ডঃ কৃষ্ণ এলা-র। মানুষের দেহেও সুফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।