নয়া দিল্লি : ইংল্যান্ডে ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে। এবার কি ভারতেও আসতে চলেছে অ্যান্টি-কোভিড ট্যাবলেট ? সংশ্লিষ্ট ট্যাবলেট মলনুপিরাভিরের (molnupiravir)-এর ক্লিনিক্যাল ডাটা খতিয়ে দেখছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। সান ফার্মাটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে জানানো হয়েছে,  Merck Sharp Dohme (MSD) ও Ridgeback-এর তৈরি মলনুপিরাভির পাওয়া যাবে Molxvir নামে। সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই ট্যাবলেট অনুমোদন পেলে ভারতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে করোনা চিকিৎসায় তা ব্যবহার করা হবে।


কারা এই ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারবেন ?


যে সব প্রাপ্তবয়স্ক করোনায় আক্রান্ত, তাঁরা গুরুতর উপসর্গ ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে এই ট্যাবলেট নিতে পারেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টি-কোভিড ট্যাবলেট কোনওভাবেই ভ্যাকসিনের বিকল্প নয়। করোনায় উপসর্গ দেখা যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।


ভ্যাকসিন আকারে ইনজেক্ট করতে হবে না শরীরে। সাধারণ ওষুধের মতোই সরাসরি গিলে নিতে পারবেন। জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ (Oral Medicine)-কে স্বীকৃতি দেয় ব্রিটেন। যে কোনও ট্যাবলেটের মতোই এই ওষুধ (Covid 19 Pill) দেওয়া যাবে রোগীকে।


বিশ্বের বুকে একেবারে তোলপাড় করার মত উদ্ভাবন। ইঞ্জেকশনের বদলে খাওয়ার ওষুধেই পাওয়া যাবে কোভিড প্রতিরোধী উপাদান। আমেরিকার মার্ক (MRK.N) ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই ওরাল মেডিসিন। করোনার সংক্রমণ-রোধী এই ওষুধকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন। এই ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ করেছে Britain's Medicines and Healthcare products Regulatory Agency (MHRA)। কোভিড পজিটিভ কোনও রোগী ধরা পড়লেই তাঁর দেহে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ওষুধ(molnupiravir)কে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।


molnupiravir ব্যবহার নিয়ে চলতি মাসেই সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শকারী দল। তার আগেই ব্রিটেনের ছাড়পত্র পেয়েছে এই অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে ভারত।