পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তৈরি হয়েছে শিশুদের জন্য ১০ বেডের কোভিড ওয়ার্ড।  প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলান্স ও অক্সিজেন ব্যবস্থা।  ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পরিস্থিতি এলে যাতে শিশুদের  জরুরি চিকিত্সা দেওয়া যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। 


ধীরে ধীরে কমছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কিন্তু, ইতিমধ্যেই এর তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভারত। এখনও কমছে না উদ্বেগ। ভয়ঙ্কর রেকর্ড গড়ে করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা এবার সাড়ে ৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই। কার দায়ে ভারতের এই ছারখার অবস্থা, তা নিয়ে তীব্র বিতর্কের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। আর এতে শিশুরা বড় সংখ্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করছেন চিকিৎ‍সকদের একাংশ। কানাডা, আমেরিকা সহ বিশ্বের একাধিক দেশে শিশু-কিশোরদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলেও,  ভারতে এখনও তা শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি জেলা প্রশাসনই নিজের মতো করে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।


বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর ২ নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এতদিন যে শিশুদের ওয়ার্ড ছিল, সেটিকেই বদলে ফেলা হয়েছে কোভিড ওয়ার্ডে। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিত্‍সার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে ১০টি অক্সিজেন সরবরাহ যুক্ত বেড। পেডিয়াট্রিক কোভিড ওয়ার্ডে আরও যা যা লাগবে, তার জন্যই ইতিমধ্যেই দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে।


সরকারি নথি অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের ৫.৮ শতাংশ শিশু। এর মধ্যে যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, তাদের ৮ থেকে ২০ শতাংশের চিকিৎসায় আইসিইউ-র প্রয়োজন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। 


বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর ২ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি গোস্বামী বলেন, তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় জরুরি প্রয়োজন পড়লেই যাতে ব্যবহার করা যায় তার জন্য ১০ ওয়ার্ডের শিশুদের কোভিড ওয়ার্ড তৈরি রাখা হচ্ছে। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। আরও একটি অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়েছে। ২টি অ্যাম্বুল্যান্সেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে।