নয়াদিল্লি: শরীরে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব প্রমাণ করে যে সেই ব্যক্তি কোনও সময়ে সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু, তা এটা নিশ্চিত করে না যে, ওই ব্যক্তি ফের করোনায় আক্রান্ত হবেন না। এমনটাই জানালেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, এটা নির্ভর করছে অনেকগুলি বিষয়ের ওপর, যেমন-- কী ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, কতটা পরিমাণ তৈরি হচ্ছে এবং তার স্থায়িত্ব কতদিন।


ভারতে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৯০ হাজার ৮০২ জন। দেশে মোট আক্রান্ত ৪২ লক্ষ ৪ হাজার ৬১৪।


করোনায় দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণে টানা পাঁচদিন বিশ্বে প্রথম ভারত। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লক্ষ ছাড়াল। গত ৩২ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে শীর্ষে ভারত। এছাড়াও, আজ দৈনিক মৃত্যুতেও বিশ্বে ভারত সবার ওপরে।


এই পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞদের এই মতামত নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলবে। যদিও, এই তত্ত্ব নিয়েও দ্বিমত রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই। দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির গবেষক সত্যজিৎ রাথ জানান, অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থেকে প্রমাণ হয় না যে, শরীরে ভাইরাস কীভাবে বিস্তার করছে।


আবার, পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর গবেষক বিনীতা বল জানান, দুধরনের অ্যান্টিবডি হয়। একটা 'সিম্পল অ্যান্টিবডি', অন্যটি 'নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি'।


তিনি যোগ করেন, নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি শরীরে নতুন করে ভাইরাসের প্রবেশ রোধ করতে সক্ষম। কিন্তু, সিম্পল অ্যান্টিবডি তা করতে পারে না। এতে শুধু এটুকু প্রমাণ হয় যে ওই শরীরে কোনও একটা সময়ে করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে।


তাঁর মতে, শরীরে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি না থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফের করোনায় আক্রান্ত হতেই পারেন। এছাড়া, থাকলেও, তা শরীরে কতটা পরিমাণে রয়েছে এবং তার স্থায়িত্ব কত, এসব কিছুর ওপর নির্ভর করছে, যে ভাইরাস দ্বিতীয়বার এক শরীরে হানা দিতে পারবে কি না!