কলকাতা: কলকাতা শহরে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গত এক মাসে শহরে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২০ থেকে কমে চারে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, শহরের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সুস্থতার হার অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অগাস্টের মাঝামাঝি সময় কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ২০। ২২ সেপ্টেম্বর তা দাঁড়িয়েছে চারে।


করোনা থেকে সুস্থ সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমানোর পিছনে অন্যতম কারণ। পশ্চিমবঙ্গে দুই লক্ষাধিক মানুষ কোভিড-১৯ রোগের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।


এরাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.২৭ শতাংশ। তথ্য বলছে, কলকাতা শহরে ৪৫ হাজার ২৬২ জন মানুষ করোনা-মুক্ত হয়েছেন। শহরে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৩২০।


গত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শহরে ১৬০৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এবং ৫২ হাজার মানুষ করোনার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, রাজ্যে বর্তমানে ৩২৯০টি ব্রডবেস কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, ’’লকডাউনের বিধি শিথিল করার পরে ব্রডবেস কন্টেনমেন্ট জোনের ধারণা পাল্টে গিয়েছে। যে আবাসন বা বিল্ডিংয়ে করোনা-আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে, সেই আবাসন ও বিল্ডিংকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেখানে কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে।‘‘ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, টালিগঞ্জের একটি আবাসন, রবীন্দ্র সরোবর ও বালিগঞ্জের একটি জায়গা এবং বেহালার সখেরবাজার বস্তি এলাকা এখন ব্রডবেস কন্টেনমেন্ট জোন।


পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৬৩টি, নদিয়ায় ৫৬১ ও পুরুলিয়ায় ৫১১টি ব্রডবেস কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩টি ব্রডবেস কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে।


এই জেলায় এক হাজার মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন। বর্তমানে এখানে ৪২৮৩ জন অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন। ৪০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।