গাঁধীনগর: আয়ুষ মন্ত্রক বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেউ সবুজ সংকেত দেয়নি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সেই মার্চ মাস থেকে রাজ্যবাসীকে আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০ হোমিওপ্যাথি ওষুধটি খাইয়ে চলেছে গুজরাত সরকার। দেশে করোনা দেখা দেওয়ার পর রাজ্যের অর্ধেকের বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই এই ওষুধ খেয়েছেন।

তাদের করোনা রোখার পরিকল্পনা সম্পর্কে ২০ তারিখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করেছে গুজরাত স্বাস্থ্য দফতর। তারা জানিয়েছে, ৩.৪৮ কোটি জনতার মধ্যে আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ বিলি করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের ৬.৬ কোটি মানুষের অর্ধেকের বেশি এই ওষুধ খেয়েছেন। যদিও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর্সেনিকাম অ্যালবাম আদৌ কার্যকর কিনা তার কোনও প্রমাণ নেই। বিজ্ঞানীরা তো বটেই, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন এ কথা। কিন্তু রাজ্য সরকারের দাবি, যাঁরা আয়ুষ মন্ত্রকের প্রস্তাবিত ওষুধ করোনার আগাম প্রতিষেধক হিসেবে খেয়েছেন, তাঁদের ৯৯.৬৯ শতাংশ করোনা নেগেটিভ। আয়ুষের ওষুধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, দাবি করেছে গুজরাত সরকার।

গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য সচিব জয়ন্তী রবি বলেছেন, কিছু কারণে রাজ্য সরকারের আর্সেনিকাম অ্যালবামের কার্যকারিতায় বিশ্বাস হয়েছে। দেখাও যাচ্ছে, এই ওষুধ যাঁরা খেয়েছেন তাঁদের ৯৯.৬৯ শতাংশ করোনা নেগেটিভ। যে ০.৩ শতাংশ করোনা পজিটিভ এসেছেন, তাঁদের লক্ষণও অত্যন্ত অল্প। অতএব আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০-র কার্যকারিতায় বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। তবে এটা প্রকাশ্যে ঘোষণা করার আগে এ নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা প্রয়োজন।

রাজ্য আয়ুষ দফতরের ডিরেক্টর ভাবনা প্যাটেল জানিয়েছেন, ভাবনগরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০ নিয়ে পরীক্ষা চলছে, তবে করোনার আগাম প্রতিষেধক হিসেবে এর কার্যকারিতা এখনও স্পষ্ট নয়।