লিসবন: প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেও, খেতাব অধরাই থেকে গেল প্যারিস সাঁ জা-র। কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলে জিতে ষষ্ঠবার ইউরোপের সেরা ক্লাবের তকমা নিজেদের দখলে নিল বায়ার্ন মিউনিখ। ৫৯ মিনিটে জোশুয়া কিমিচের ক্রস থেকে হেডে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন কোম্যান। টমাস মুলার, রবার্ট লেওয়ানডস্কি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াদের টপকে ফাইনালের নায়ক হয়ে গেলেন পিএসজি-র প্রাক্তনী কোম্যান। পুরনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন তিনি। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুললেন বায়ার্ন ম্যানেজার হ্যান্সি ফ্লিক। তিনি এই ম্যাচে ইভান পেরিসিচের বদলে শুরু থেকেই উইংয়ে নামিয়ে দেন কোম্যানকে। এই সিদ্ধান্তটাই ফাইনালে নির্ণায়ক হয়ে গেল।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বায়ার্ন যদি না জিতত, তাহলেই সেটা সবচেয়ে বড় অঘটন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকত। গ্রুপ পর্যায় থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচই জিতেছে জার্মানির চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। ফাইনালে পিএসজি অবশ্য লড়াই করেছে। কিন্তু তাতেও বায়ার্নের জয় আটকাল না। করোনা আবহে দর্শকশূন্য মাঠেই জয় উপভোগ করতে হল মুলার, লেওয়ানডস্কিদের। এর আগে ২০০৭-০৮ মরসুমে শেষবার অপরাজিতভাবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। তারপর এই প্রথম কোনও ক্লাব সেই নজির স্পর্শ করল। তবে ম্যান ইউয়ের চেয়ে বায়ার্নের কৃতিত্ব অনেক বেশি। কারণ, ম্যান ইউ সব ম্যাচ জিততে পারেনি, যা করে দেখাল জার্মানির ক্লাবটি।