রাষ্ট্রসংঘ : ভারতে তৈরি কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ পেয়েছেন তিনি। এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রসংঘের ৭৬ তম সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লা শাহিদ। ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ভারতে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে পুণের সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘের ৭৬ তম সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি বলেন, ভারতে তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছি আমি। দুটি ডোজই পেয়েছি। আমি জানি না যে কতগুলি দেশ বলবে যে কোভিশিল্ড গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু, এটা ঠিক যে বহু সংখ্যক দেশ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন পেয়েছে।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কোনও করোনা ভ্যাকসিনকে কি স্বীকৃতি দেওয়া হবে ? এপ্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে আবদুল্লা শাহিদ বলেন, আমি বেঁচে আছি। চিকিৎসা ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত কোনও মানুষই এই প্রশ্নের উত্তর দিক, আমি নই।
প্রসঙ্গত, ভারত প্রায় ১০০টি দেশে ৬৬ মিলিয়নের বেশি ভ্যাকসিন ডোজ রফতানি করেছে । আবদুল্লা শাহিদের দেশ মলদ্বীপই সেই প্রথম দেশগুলির মধ্যে রয়েছে যাঁরা জানুয়ারিতে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন পায়। সেই সময় মালে প্রায় ১ লক্ষ ভ্যাকসিন রফতানি করা হয়েছিল। সর্বমোট মলদ্বীপ ৩.১২ লক্ষ ভারতের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন গেছে।
এর আগে ইংল্যান্ড ভারতে তৈরি কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে ভারত। তার পরই নড়েচড়ে বসে বরিস জনসন সরকার। ২২ সেপ্টেম্বর নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিনকে যুক্ত করে ইংল্যান্ড।
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ট্রাভেল ও কোয়ারেন্টিন নিয়মে বদল আনে ইংল্যান্ড। তাদের তরফে আন্তর্জাতিক ট্রাভেল নর্মস-এ সম্পূর্ণরূপে টিকাকরণ হয়ে যাওয়া ভারতীয়দের "আনভ্যাকসিনেটেড" হিসেবে গণ্য করা হয় এবং সেদেশে পৌঁছনোর পর ১০ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশিকা জারি হয়। এর অর্থ, ইংল্যান্ডে কোভিশিল্ডের ছাড়পত্র সত্ত্বেও, এই ভ্যাকসিন নেওয়া ভারতীয়দের সেদেশে প্রাথমিকভাবে বিশেষ কোনও সুযোগ থাকছে না। ইংল্যান্ডে পৌঁছনোর পর তাঁদের হয় ১০ দিন সেল্ফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে অথবা কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ কমিয় আনা যেতে পারে। কীভাবে ? এক্ষেত্রে ৫ দিনের মাথায় 'টেস্ট টু রিলিজ' পরিষেবা বেছে নেওয়া যেতে পারে।