দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রবিবার ১৪ লক্ষ পেরিয়েছিল। আর মঙ্গলবারেই তা ১৫ লক্ষ পেরিয়ে গেল! আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের প্রথম তিনটি দেশ হল -- আমেরিকা, ব্রাজিল এবং ভারত।
একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ২৮৫ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ১৭৫। দেশে মোট সংক্রমণ-মুক্ত ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৯ জন। তবে আশার কথা, মৃত্যুর হার কমে হয়েছে ২.২৩ শতাংশ। ৬৪.৫১ শতাংশ বেড়েছে সুস্থতার হার।
কিন্তু, ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবি, সারা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ভারতে। গত সাত দিনের গড় হিসাব বলছে ভারতে করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধির হার ৩.৬ শতাংশ। সেখানে ব্রাজিলে করোনা বৃদ্ধির হার ২.৪ শতাংশ। আমেরিকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১.৭ শতাংশ। সব মিলিয়ে ভারতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে গত ২৪ ঘণ্টাতেও বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম আমেরিকা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৬১ হাজার ৫৪ জন। আর ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৫১৩ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৮১৬ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৬৯। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার সারা দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬৫৪ জনের। আর বুধবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৭৬৮।
সব মিলিয়ে করোনায় দেশে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ১৯৩ জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে তিন নম্বরে ভারত। প্রথম আমেরিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৯২ জনের। দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। একদিনে মৃত ৯২১। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
দিল্লি-মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আগের চেয়ে অনেকটাই কমলেও, দক্ষিণের রাজ্যগুলির পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে! গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর নিরিখে দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্য হল - মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্র শুরু থেকেই শীর্ষে থাকলেও, তামিলনাড়ু কার্যত এখন টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের নিরিখে এখনও দেশের মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এরপরই উঠে এসেছে তামিলনাড়ু। তৃতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। চতুর্থ স্থানে কর্ণাটক এবং পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ।
এরইমধ্যে সুখবর হল, দেশে সংক্রমণের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থতার হারও বাড়ছে! স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ২৮৫ জন। দেশে মোট সংক্রমণ-মুক্ত ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৯ জন। সুস্থতার হার ৬৪.৫১ শতাংশ। মৃত্যুর হার কমে হয়েছে ২.২৩ শতাংশ।
ইউরোপের দেশগুলির তুলনায় এশিয়ায় করোনা মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। ভারতে প্রতি ১০ লক্ষ জনগণের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। প্রতিবেশী বাংলাদেশে সংখ্যাটা ১৭। পাকিস্তানে প্রতি ১০ লক্ষ জনগণের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। শ্রীলঙ্কায় সংখ্যাটা ০.৫ এবং নেপালে ২।