কলকাতা: নির্মম।  অমানবিক। দায়িত্বজ্ঞানহীন। অভিধান থেকে বাছাই করা শব্দবন্ধেও এই ঘটনার নিন্দা করা সম্ভব নয়। রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের নিকৃষ্টতম আরও এক দৃষ্টান্ত দেখল কলকাতা। চলতি সপ্তাহের সোমবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে শ্যামবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বছর চুয়াল্লিশের এক রোগী। পরে রাজারহাটের বাসিন্দা ওই রোগীর করোনা পরীক্ষাও করা হয়। আজ রিপোর্ট আসলে দেখা যায়, তিনি নোভেল করোনাতেও আক্রান্ত।


এরপরই কর্তৃপক্ষ রোগীকে নার্সিং হোম চত্বরের বাইরে বের করে দেয়। যদিও পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে রোগীকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেখে আসা হয়।



(বেলেঘাটা আইডি-তে রাজারহাটের করোনা আক্রান্ত রোগী)


সমস্যার এখানেই শেষ নয়। বেলেঘাটা আইডি-র তরফে জানানো হয় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা ছাড়া কোনওভাবেই রোগীকে ভর্তি নেওয়া হবে না। এদিকে নার্সিং হোমের অ্যাম্বুলেন্সও রোগীকে কোনও মতে নামিয় কার্যত পালিয়ে যায়। যার ফলে অন্যত্র যাওয়ার উপায়ও থাকে না আক্রান্তের কাছে। এই অবস্থায় দুপুর ২টো থেকে ৬টা পর্যন্ত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চাতালেই বসে থাকেন রোগী।


আক্রান্তের ভাই জানান, “প্রতিবন্ধী দাদাকে ভর্তি না নিলে কোথায় যাব? এভাবে গ্রামে ফিরে গেলে সেখানেও লোকে ঢুকতে দেবে না”। জোড়া রোগে আক্রান্ত রোগী বলেন, “জ্বর ছিল। পরীক্ষা করে জানা যায় ডেঙ্গি হয়েছে। এখন করোনাও হল।”


বেলেঘাটা আইডি-তে রোগী হয়রানির এই ছবি এবিপি আনন্দে সম্প্রচারিত হওয়ার পরই ভর্তি প্রক্রিয়া তরান্বিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন আক্রান্তকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোগীর ভাই। ‘হাসাপাতাল ভর্তি নেওয়ায় অবশেষে স্বস্তি পেল দাদা’, মন্তব্য আক্রান্তের ভাইয়ের।