নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। সংসদে দাবি কেন্দ্রের। রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে কেন্দ্রের দাবি, অক্সিজেন ঘাটতি সংক্রান্ত কোনও তথ্য কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিরোধীরাও।
গতকাল, রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানান, স্বাস্থ্য রাজ্যের আওতাধীন বিষয়। রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে কেন্দ্রকে জানানোর কথা। কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনু গোপালের প্রশ্নের উত্তরে ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানিয়েছেন, অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে তথ্য দেয়নি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ের ছবি দেখেছে সারা দেশ। হাসপাতালের বাইরে শুয়ে রয়েছেন রোগীরা। কেউ বা বসে বসে কাতরাচ্ছেন। বাঁচাতে পারে শুধুমাত্র অক্সিজেন। অথচ সেই অক্সিজেনের অভাব। আর তার জেরে দেশজুড়ে কত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে তা জানাই নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। ওই বিষয়ে শুধু দায় এড়ায়নি কেন্দ্র। একইসঙ্গে কাঠড়ায় তুলেছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্সিজেনের অভাবে মে মাসে ৫ দিনের ব্যবধানে গোয়ার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। তিরুপতি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আইসিইউ-তে প্রাণ হারান অক্সিজেন না পেয়ে। ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হায়দরাবাদের হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। আর মৃত্যু হয় প্রায় ৭ জন করোনা আক্রান্ত ।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন করেন, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সহ অক্সিজেনের ঘাটতি মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র? গতকাল এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, স্বচ্ছ একটি পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে রাজ্য, কেন্দ্র একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে কেন্দ্রের এই বক্তব্যে চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, "দেশজুড়ে অক্সিজেনের কালোবাজারি হয়েছে। কেন্দ্রের লিখিত জবাব অসত্য।" রাজ্যের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তো কেন্দ্রের দাবি, কটাক্ষ সিপিএমের।