পটনা: বিহারের আদালতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম ঘেব্রেউসকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় তুললেন জনৈক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগনামায় সাক্ষী হিসাবে নাম করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
অভিযোগকারীর আইনজীবী মুরাদ আলির দাবি, জিনপিং ও ঘেব্রেউস চিনের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছেন। তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন পশ্চিম চম্পারণ জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। ১৬ জুন অভিযোগের শুনানি হবে। চিনা প্রেসিডেন্টকে ২০১৯ এর ডিসেম্বরে উহান থেকে মারণ ভাইরাস ছড়ানোয়, হু-এর প্রধানকে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর কথা গোপন করে যাওয়ায় অভিযুক্ত করেছেন মুরাদ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭০, ২৭১, ৩০২, ৩০৭, ৫০০, ৫০৪ ও ১২০ বি ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প বারবার চিনকে কোভিড-১৯ অতিমারী ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন। চিন করোনা সংক্রমণের তথ্য চেপে গিয়েছে বলে তাঁর দাবি। বলেছেন, চিন এ ব্যাপারে (করোনাভাইরাস) খুবই গোপন রাখছে সব। এটা দুর্ভাগ্যজনক। হু প্রধানকেও চিনের পক্ষ নেওয়ায়, করোনাভাইরাস ইস্যুর রাজনীতিকরণে অভিযুক্ত করেন ট্রাম্প, হুঁশিয়ারি দেন, জেনিভা কেন্দ্রিক এজেন্সিকে মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ করে দেবেন। ট্রাম্প বলেন, উনি (ঘেব্রেউস) যখন রাজনীতিকরণের কথা বলেন, উনি রাজনীতিই করেন। এটা হওয়া উচিত নয়। গত বছর আমরা ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছি। তার আগের বছরগুলোয় আরও কয়েকশ মিলিয়ন দিয়েছি। ওদের আরও ভাল করতে হবে। যখন রাজনীতির কথা হয়, আমি বিশ্বাস করতে পারি না, উনি রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু চিনের সঙ্গে ওদের সম্পর্কটা দেখুন। চিন ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে। আমরা ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু সব মনে হয় চিনের ইচ্ছেমতোই হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। আমাদের প্রতি ন্যয়বিচার নয়। সত্যি বলতে কী, গোটা বিশ্বের প্রতিও ন্যয়বিচার করা হয় না।