কলকাতা: টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হচ্ছে মৃতদেহ। পচাগলা দেহগুলির গলায় আঁকশি গেঁথে এক এক করে টেনে তোলা হচ্ছে গাড়িতে। মৃতদেহগুলি কি করোনা আক্রান্তদের? এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা গড়িয়া শ্মশান চত্বরে। শ্মশানের সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এগুলি অজ্ঞাতপরিচয় ও বেওয়ারিশ মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতদের কেউই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এগুলি অজ্ঞাতপরিচয় ও দাবিদারহীন মৃতদেহ। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ছিল ১৪টি মৃতদেহ। দাবিদার না মেলায় নিয়ম মতো, ১৫ দিন পর সেগুলি সৎকারের জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে দাবি, বুধবার গড়িয়া শ্মশানে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ সত্‍কারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তদের। এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায়, শেষমেষ, সত্‍কার না করেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহগুলি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বাম কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য। বিষয়টি আগে জানানো হয়নি কেন? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও এই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা শ্মশান কর্তৃপক্ষ।

পুরসভা সূত্রে খবর, গত ২৯ মে একটি নির্দেশিকা জারি হয়। সেখানে বলা হয় দাবিদারহীন মৃতদেহগুলি গড়িয়া মহাশ্মশানে সৎকার করা হবে।


এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি লেখেন, ‘অমানবিক, অবর্ণনীয়, অসংবেদনশীলভাবে মৃতদেহের শেষকৃত্য করা হচ্ছে। সমাজের প্রথা অনুযায়ী, শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে মৃতদেহের সত্‍কার করা উচিত। যেভাবে মৃতদেহের শেষকৃত্য হচ্ছে, তাতে আমি উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে তথ্য তলব করেছি।’