নয়াদিল্লি: ভারত করোনা অতিমারীর চূড়ান্ত স্তর পেরিয়ে এসেছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক হতে পারে। জানাল কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত একটি বৈজ্ঞানিক কমিটি। তবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ছাড়ার সময় এখনও আসেনি বলে তারা জানিয়েছে।

কমিটি জানিয়েছে, এখন আমরা যে সব সাবধানতা বজায় রেখে চলছি, তা যদি এভাবেই চালিয়ে যাই, তবে ফেব্রুয়ারিতে অতিমারীতে ইতি পড়ার সম্ভাবনা। ততদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা দেড়কোটির মত হবে। এই মুহূর্তে দেশে  প্রায় ৭৫ লাখ সংক্রমিত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩০ শতাংশের শরীরেই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

বৈজ্ঞানিক কমিটি বলছে, মার্চে লকডাউন চালু না হওয়ায় দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এ বছর অগাস্টেই ২৫ লাখ ছাপিয়ে যেতে পারত। যদিও এখনও পর্যন্ত ১৩৫ কোটির দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা চোখে পড়ার মত কম, মাত্র ১.১৪ লক্ষ। এই হিসেবে চললে আগামী ফেব্রুয়ারিতে করোনায় মৃত্যুহার ০.০৪ শতাংশের নীচে নেমে যাবে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সুপারমডেল নামে এই কমিটিকে করোনার জন্য একটি ম্যাথামেটিক্যাল মডেল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়, এই মডেলের ভিত্তিতে দেশে করোনা অতিমারীর আশঙ্কা ব্যাখ্যা করার কথা ছিল। এর সদস্যরা হলেন আইআইটি ও আইসিএমআর-এর সঙ্গে যুক্ত।

এই কমিটি জানিয়েছে,ভারত করোনার চূড়ান্ত স্তর অর্থাৎ পিক পেরিয়ে এসেছে কিন্তু সে জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থায় ঢিলেমি করলে চলবে না। এদের মতে, এই উৎসবের মরসুম ও শীতের সময় সংক্রমণ ফের বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এদের মতে, এখন আর দেশজুড়ে লকডাউনের দরকার নেই, সামান্য কিছু এলাকায় নির্দিষ্টভাবে করা যেতে পারে।

কমিটি জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে আসায় করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, বিহারের শ্রমিকরা ফিরে আসায় সংক্রমণের হারে এমন কিছু বৃদ্ধি চোখে পড়েনি। কিন্তু লকডাউনের আগে যদি তাঁদের গ্রামে ফেরার অনুমতি দেওয়া হত, তবে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারত।