নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রতিষেধক ভ্য়াকসিন তৈরি সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতের ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়াস, ওষুধ আবিষ্কার, করোনাভাইরাসের ডায়াগনসিস অর্থাত রোগ নির্ধারণ ও টেস্টিং-পুরো ব্যাপারটা কী পর্যায়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। বৈঠকে পৌরহিত্য করেন তিনিই। সেখানে বিস্তারিত রিভিউ করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, আর্লি স্টেজ অর্থাত প্রাথমিক পর্বের ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় ভারতীয় ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলি উদ্ভাবক হিসাবে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে ভারতীয় গবেষক মহল, স্টার্ট আপগুলির অবদানেরও উল্লেখ করেছে পিএমও। ৩০টিরও বেশি ভারতীয় ভ্য়াকসিন এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে, তাদের কয়েকটি ট্রায়াল পর্বে যাচ্ছে।
বৈঠকে আরও কথা হয়েছে যে, সারা দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারের মধ্যে যোগসূত্রের সুবাদে আরটি-পিসিআর টেস্ট ও অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণ, দুটির ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়েছে, চাঙ্গা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, টেস্টিংয়ের সামগ্রী বাইরে থেকে আমদানির সমস্য়ার দিকে গুরুত্ব দিয়েছে ভারতীয় স্টার্ট-আপগুলির জোট ও দেশীয় ইন্ডাস্ট্রি। তারা বর্তমান চাহিদা সামাল দিয়েছে। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে একটি চাঙ্গা, সচল দীর্ঘমেয়াদি শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে স্বকীয় ঢঙে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা মৌলিক থেকে প্রায়োগিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একযোগে এগিয়ে এসেছেন, সেটা আশাব্যঞ্জক। আগামীদিনেও এমন গর্ববোধ, মৌলিকতা ও উদ্দেশ্যমুখিনতা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করবে আশা করা যায়। একমাত্র তখনই আমরা বিজ্ঞানের দুনিয়ায় শুধু অনুসরণকারী নয়, বিশ্বসেরাদের মধ্যে যেতে পারব।