নয়াদিল্লি: ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে ফের কেন্দ্রের সমালোচনায় রাহুল গাঁধী। আর এস এস প্রধান মোহন ভগবত এবং উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়া হয়। তা নিয়ে সরব হয় কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, “মোদি সরকার এখন ব্লু-টিক নিয়ে লড়াই করতেই ব্যস্ত। কোভিড টিকা চাইলে আপনাকে আত্মনির্ভর হতে হবে।“


মাইক্রো ব্লগিং সাইট  ট্যুইটারকে শেষ সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্র। নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। নতুন আইটি (IT) নীতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে সংস্থার। কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই গতকাল বিতর্ক তৈরি হয় ট্যুইটারকে কেন্দ্র করে। গতকাল, শনিবার সকালে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর ব্যক্তিগত ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিকের সুবিধা সরিয়ে নেয়  সংস্থা। এর পাশাপাশি মোহন ভাগবতের অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিক বা যাচাই করা অ্য়াকাউন্টের চিহ্ন সরিয়ে নেয় ট্যুইটার। একাধিক সংঘ নেতার অ্যাকাউন্ট থেকেও নীল টিকের চিহ্ন সরিয়ে নেওয়া হয়। 


এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গতকাল শোরগোল পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের হস্তক্ষেপেই ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায় টুইটার। সংস্থার নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে মন্ত্রক। বিতর্কের আবহে পরে ব্লুট টিক ফেরানো হয়। এই ঘটনায় কেন্দ্রে বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধী। 


দিন কয়েক আগে দেশে ভ্যাকসিন সঙ্কট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ফের কড়া সমালোচনা করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তিনি বলেন, বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাকসিন উত্‍পাদনকারী দেশ ভারত। অথচ দেশের মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিনেশন হয়েছে।  এই ভ্যাকসিনেশন নীতির জন্য কে দায়ী? একইসঙ্গে সরব হন  কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও। তিনি  ট্যুইট করে লেখেন, "করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবথেকে বড় সুরক্ষা ভ্যাকসিন। দেশের সব মানুষের ভ্যাকসিনেশনের জন্য আওয়াজ তুলুন।"