কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি উচিত নয়, তা নিয়ে এবার মতামত জানতে চাইল রাজ্য সরকার। অভিভাবক, পড়ুয়া অথবা সাধারণ মানুষ মতামত দিতে পারেন। আগামীকাল সোমবার ২ টোর মধ্যে ইমেল করে মতামত জানাতে হবে।  pbssm.spo@gmail.com  commissionerschooleducation@gmail.com , wbssed@gmail.com  এই তিন মেল আইডিতে মেল মারফত জানানো যাবে মতামত। 


করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হওয়া উচিত কি উচিত নয়? পরীক্ষা হলে কীভাবে পরীক্ষা? না হলে কীভাবে হবে মূল্যায়ন?  এখনও তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ, রবিবার স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন একটি নির্দেশিকা জারি করেন। কিন্তু করোনা আবহে পরীক্ষা নিয়ে কী ভাবছে রাজ্যের সিংহভাগ মানুষ, তা জানতে তৎপর সরকার। আর তাই এবার সরাসরি অভিভাবক, পড়ুয়া সহ সাধারণ মানুষের কাছে মতামত চাওয়া হল। সংশ্লিষ্ট ৩ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাওয়া হয়েছে মতামত।




এদিকে করোনা আবহে পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে। সূত্রের খবর, করোনা আবহে পরীক্ষা নেওয়া উচিত হবে না, এমনই মতামত দিয়েছে কমিটি । কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে শিশুদেরও। যে বয়সের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাদের ভ্যাকসিনেশনই হয়নি।


এদিন এই বিষয়ে ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, শিশুদের ভবিষ্য়ৎই আমার কাছে প্রাধান্য পাবে। কীভাবে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া যায় তা সিদ্ধান্ত নিতে আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছি। এবার সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যেমন অভিভাবক, পড়ুয়া, সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে মতামত জানাতে পারবেন।



কিন্তু, প্রশ্ন হল, শেষ অবধি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক না হলে, পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে কীভাবে? সূত্রের খবর, একাধিক প্রস্তাব উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞ কমিটির মধ্যে। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে বসিয়ে হোম অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে।এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে যাঁদের বসার কথা, তাঁদের বিজ্ঞান বিভাগে ৩০ নম্বর প্র্যাকটিক্যাল এবং কলা ও বাণিজ্যে ২০ নম্বরের প্রজেক্টের নম্বর জমা পড়েছে সংসদের কাছে। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিগত একাদশ শ্রেণির বার্ষিক অসম্পূর্ণ পরীক্ষার ফলও নজরে আছে কমিটির। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ১০ নম্বরের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট মাথায় রাখা হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। এবার সাধারণ মানুষের মতামতের জন্য দরজাও খুলে দিল সরকার।