সঞ্চয়ন মিত্র ও গোপাল চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুয় হাত ধরে আজ হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় ঢুকে পড়ল বর্ষা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে এখনই তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাইয়ের সম্ভাবনা নেই। আগামী ১১ জুন উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের হাত ধরে ঢুকবে বর্ষা। বীরভূমের নলহাটিতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। 


উত্তরবঙ্গে স্বস্তি, দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তি। স্বাভাবিক সময়েই উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়ল বর্ষা। অন্যদিকে, আগামী ১১ জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। সেই মৌসুমী বায়ুর হাত ধরেই এদিন উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এখনও বৃষ্টির জন্য চাতকের প্রতীক্ষা>


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের হাত ধরে ঢুকবে বর্ষা।  ততদিন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে গরম এবং অস্বস্তি বজায় থাকবে। তবে আজ বীরভূমে আচমকাই বজ্রবিদ্যুত্‍সহ বৃষ্টি হয়। বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে পাইকর থানার সুহুদিঘি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আলি মণ্ডলের। নলহাটিতে জমি জরিপের কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর। বীরভূমের সিউড়িতেও বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টি হয়েছে। 


সারাদিন মেঘ-রোদের খেলা চলছে। তার মধ্যে বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা বেশি থাকায়, ঘেমে নেয়ে একশেষ হতে হচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। অস্বস্তিকর এই পরিবেশের মধ্যে অবশেষে আশার কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গে বর্ষার আগমন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে আশার কথা। 


এবছর এল নিনোর প্রভাবে পিছিয়েছে বর্ষার আগমন। তার উপর অস্বাভাবিক গরম। দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’হাজারেরও বেশি মানুষের। অনাবৃষ্টি ও খরার আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এই পরিস্থিতিতে সুখবর দিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষা এগোলেও, দক্ষিণবঙ্গে তা পৌঁছতে অন্তত ১০ দিন লাগার কথা। সেক্ষেত্রে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের।