নয়া দিল্লি : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটি রয়েছে। অক্টোবরেই পৌঁছতে পারে শিখরে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে সতর্ক করে এই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। এই পরিস্থতিতে করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণ অতি জরুরি, একথা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু, এই আশঙ্কার মধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি রিপোর্ট চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্য়মে খবর, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১৬ সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও করোনা ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ নেওয়া হয়নি কমপক্ষে ১.৬ কোটি ভারতীয়র। 


গত ১৩ মে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। দুই ডোজের সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হয়েছিল। কিন্তু, কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার মেয়াদ রয়েছে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বা সম্পূর্ণ টিকাকরণ হওয়া বাকি রয়েছে ৩.৯ কোটি মানুষের। ২ মে-র মধ্য়ে করোনার প্রথম টিকা নেওয়া ১২.৮ কোটি মানুষের মধ্যে, ১১.২ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। 


প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে সতর্ক করে রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুজোর আগে অক্টোবরেই দেশে শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞদের মত উল্লেখ করে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণ সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ ছুঁতে পারে। 


উল্লেখ্য, একদিনে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও, কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৫ হাজার ৪৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫৪।  


এদিকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য জাইকভ-ডি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ভ্যাকসিন প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি নাবালকদেরও দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শদাতা কমিটি জানিয়েছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাকসিনও নাবালকদের দেওয়া হতে পারে। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বা অক্টোবরে নাবালকদের কোভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি মাসে কোভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।