নয়াদিল্লি: বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন ভারত সরকারের কাছে করোনার সিঙ্গল ডোজ ভ্যারসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অনুমতি চাইল। সূত্রের খবর, কোম্পানি টিকা আমদানির লাইসেন্সেরও আবেদন জানিয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্র টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে বিদেশে তৈরি ভ্যাকসিনের জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের প্রক্রিয়া দ্রুত করেছে।


 
এরইমধ্যে জনসন ও জনসন তাদের আর্জি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-র  কোভিড ১৯ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সমিতির দ্রুত বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়েছে। 



সূত্রের খবর, কোম্পানি ১২ এপ্রিল সুগম অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে গ্লোবাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিভিশনে আর্জি জানিয়েছিল।  এ ব্যাপারে এক সূত্রের খবর, কিছু জটিলতার কারণে জনসন অ্যান্ড জনসন সোমবার ফের এই আবেদন জানিয়েছে। 



এরইমধ্যে সোমবার করোনার টিকাকরণ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি প্রত্যেককে করোনা টিকা নিতে পারবেন। বয়সের সীমা হ্রাসের পাশাপাশি  টিকাকরণের ক্ষেত্রে রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ওষুধ সংস্থাগুলিকে সরাসরি উৎপাদকদের কাছ থেকে টিকার ডোজ কেনার অনুমতি দিয়েছে।



সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার খোলা বাজারেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন।  ৫০% ভ্যাকসিন খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারবে সংস্থা , সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা । এবার মানুষ চাইলে নিজেই ভ্যাকসিন কিনে নিতে পারবে। অর্থাত্ রাজ্যগুলিকে সরাসরি ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে প্রস্তুতকারী সংস্থা। সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এর ফলে  ভারত বায়োটেক বা সিরাম ইনন্সিটিউট থেকে কিনতে পারবে রাজ্য সরকার। 



জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের মাত্র একটি ডোজই দেওয়া হয়। কোম্পানির দাবি, ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তিন মাস পর্যন্ত রাখা যায় এই ভ্যাকসিন। আর শূন্যর থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম তাপমাত্রায় তা দুই বছর পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। 



সারা বিশ্বে এই টিকার কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশ ও আমেরিয়ায় ৭২ শতাংশ। এই সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের দাম ৮.৫ থেকে ১০ ডলার অর্থাৎ ৬৩৭ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।