নয়াদিল্লি: সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর বিলটি গতকাল থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হওয়া বিলটি চোখে পড়ার পরই কর্নাটকের মেডিক্যাল এডুকেশন মন্ত্রী ডঃ কে সুধাকর এবং হেল্থ কমিশনার পঙ্কজকুমার পান্ডে সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। কী আছে ওই বিলে? ট্যুইটারে পোস্ট হওয়া বিলটিতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসার খরচ বাবদ হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে ৯লক্ষ ৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভেন্টিলেটর বাবদ ধরা হয়েছে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার ওই হাসপাতাল এই বিল ধরিয়েছে করোনাভাইরাস সন্দেহে আসা এক রোগীর ১০ দিনের চিকিত্সার জন্য। অথচ সরকারের বেঁধে দেওয়া রেট অনুযায়ী কোনও হাসপাতাল ভেন্টিলেটর পরিষেবা-সহ কোনও আইসিইউ বাবদ দিনে ২৫ হাজার টাকার বেশি নিতে পারে না।
ডঃ সুধাকর বলেন, যদি সরকারের বেঁধে দেওয়া রেটের চেয়ে বেশি টাকা কেউ নিয়ে থাকে, তবে ব্যাপারটি অবশ্যই অত্যন্ত গুরুতর বলে দেখা হবে। হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, সঈদ বসিরুদ্দিন নামে ওই বয়স্ক রোগী গত ১৩ জুলাই রাত আড়াইটার সময় আসেন। তাঁর কো-মর্বিডিটি ছিল। ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের সমস্যা ছিল। এমন ক্ষেত্রে আমরা একটা এস্টিমেটেড বিল বানিয়ে দিই। এটাও তাই। এটা কোনও ফাইনাল বিল নয়। সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের বেশি আমরা নিই না।