নয়াদিল্লি: বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা কয়েকজন অধিনায়কের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে খেলেছেন। আইপিএলে তাঁকে দেখা গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অধিনায়কত্বে খেলতে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে আবার অধিনায়ক হিসাবে পেয়েছিলেন রোহিত শর্মাকে। সেই মাইকেল হাসি চারজনের নেতৃত্ব দেওয়ার ধরনেরই প্রশংসা করেছেন। তবে ধোনির নির্লিপ্ত থাকতে পারার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ ‘মিস্টার ক্রিকেট’।


একটি সাক্ষাৎকারে হাসি বলেছেন, ‘এমএসডির ম্যাচ রিডিং দক্ষতা অসাধারণ। সব সময় শান্ত ও সংযত থাকে। ক্রিকেটারদের দারুণভাবে সমর্থন করে। প্লেয়ারদের দক্ষতায় আস্থা রাখে।’ আইপিএলে ধোনির নেতৃত্বে ছয় মরসুম খেলেছেন হাসি। তিনি বলেছেন, ‘টানা চারটে ম্যাচ জিতুক বা পরপর চারটে ম্যাচ হারুক, ধোনির হেলদোল হয় না। একইরকম থাকে। অধিনায়ক হিসাবে ওর কিছু গুণ রয়েছে যেটা গোটা দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অধিনায়ক খুব আবেগপ্রবণ হলে কখনও উত্তেজিত হয়, কখনও নির্লিপ্ত থাকে। দলও অধিনায়কের আবেগ অনুযায়ী উত্তেজিত হয় বা শান্ত থাকে। তবে অধিনায়ক সংযত ও শান্ত হলে, ব্যক্তিত্বে ধারাবাহিকতা থাকলে, দল খুব উপকৃত হয়।’

বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে নিয়ে হাসি বলেছেন, ‘রিকি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিত। ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মানসিকতা ছিল। সতীর্থদের একশো শতাংশ পাশে দাঁড়াত। জিততে এতই মরিয়া থাকত যে, গোটা দল চাঙ্গা হয়ে পড়ত।’ হাসি যোগ করেছেন, ‘মাইকেল ক্লার্কের ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক ছিল ক্ষুরধার। কখন কোন বোলারকে ব্যবহার করতে হবে, জানত।’ রোহিত শর্মার নেতৃত্ব নিয়ে হাসি বলেছেন, ‘রোহিতও চাপের মুখে ঠাণ্ডা থাকতে পারে। সতীর্থদের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে নেওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে ওর।’